দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ গাজীপুরের কোনাবাড়ি শিল্পাঞ্চল এলাকায় দুর্বৃত্তদের দেয়া ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ১৫’শ কোটি টাকারও বেশি! চাকরী অনিশ্চয়তায় ১৮ হাজার শ্রমিক।
গতকাল রাত থেকে গাজীপুরের কোনাবারি এলাকার বিশাল পোশাক শিল্প স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপে আগুন দেয়ার ফলে এখনও আগুনে চলছে গ্রুপের বিশাল তিনটি ভবন। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নেবাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আজ সন্ধার আগে এই আগুন নেভানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
আগুনের তীব্রতা এতই বেশি হয়েছে যে ঘটনাস্থল কোনাবাড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও আতংকিত হয়ে পড়েছেন। আগুন স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ১০ তলা দুটি ভবন সহ, মোট ৪ টি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও শ্রমিক নামধারী আন্দোলনকারীরা স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের সামনে থাকা বেশ কিছু বাসা বাড়ি এবং দোকানেও আগুন দিয়েছে।
এর আগে কে বা কারা স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের প্যাকেজিং ইউনিটে প্রথমে আগুন দেয়, তাৎক্ষণিক আগুনের খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস এগিয়ে এলেও শ্রমিকরা আগুন নেভাতে দেয়নি পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে ভয়ংকর অবস্থা তৈরি হলে শ্রমিকরা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। কিন্তু ততোক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের দুটি ১০ তলা এবং দুটি ৬ তলা ভবনেও আগুন লেগে যায়।
এদিকে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেনে এটি একটি নাশকতা, দীর্ঘদিন ধরে কে বা কারা স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে আসছে।
স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কারখানার সর্বমোট মূলধনের পরিমাণ ১৫’শ কোটি টাকা এবং এখানে প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক কাজ করে, এভাবে আগুনে জ্বলে যাওয়াতে কারখানাটি আবার কবে ঠিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই, একই সাথে ১৮ হাজার শ্রমিক এবং তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবার সমূহ জিবিকা নির্বাহ করার ক্ষেত্রে বিরাট অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বিষয়ে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলানিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে কারখানার কাজ শেষে এক শ্রমিক রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে নাস্তা করার সময় টহল পুলিশ এসে তার পরিচয় জানতে চাইলে ঐ ব্যক্তি নিজের আইডিকার্ড দেখায় পুলিশকে কিছু সময় পর পুলিশ ফাকা গুলি করে এতে অন্যান্য শ্রমিকের মাঝে আতংক ছড়িয়ে যায় এবং চারিদিকে গুজব রটিয়ে দেয়া হয় পুলিশ দুইজন শ্রমিককে গুলি করেছে, এতে আতংকিত হয়ে পড়ে শ্রমিকরা এবং হঠাৎ সকল শ্রমিক বাইরে বেড়িয়ে এসে মিছিল করতে থাকে, তারা রাস্তা দখল করে সেখানেই অবস্থান নেয়।