দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার দাবী করেন এরশাদ সব দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন চেয়েছে বলেই তাকে পরিকল্পিত ভাবে সিএমএইচ এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, আমরা জাতীয় পার্টির সকল নেতারা এখনো এরশাদের নেতৃত্বে একাট্টা আছি, আমরা এরশাদ ছাড়া অন্য কাউকে নেতা হিসেবে মেনে নিবনা।
চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ের এই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির এই মহাসচিব আরও বলেন, হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ বেঁচে থাকতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার অন্য কারোর কোন সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলন চলা অবস্থায় জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা দলীয় চেয়ারম্যানকে নিজের বাসায় ফিরিয়ে এনে দেয়ার দাবী করেন এবং তারা রুহুল আমিন হাওলাদারের কাছে এরশাদের জন্য কর্মসূচী দেয়ার আহ্বান জানান, এসময় রুহুল আমিন হাওলাদার তাদের বলেন কর্মসূচী দেয়া হবে।
তবে এর আগে গতকাল রাতে রুহুল আমিন হাওলাদার অবশ্য আরেক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন এরশাদ অসুস্থ তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। র্যাব পাহারা বিষয়ে তিনি বলেছিলেন এটা সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রোটোকল!
এদিকে রাজনীতির ময়দানে জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে দারুণ আলোচনা চলছে অনেকেই বলছেন রওশন এরশাদ এরশাদের অসুস্থতার কারণে জাতীয় পার্টির হাল ধরতে পারেন।
এই প্রেক্ষিতে এরই মাঝে শুক্রবার দুপুরে রওশন এরশাদের বাসায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াম সদস্যদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বৈঠক শেষে তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন। বৈঠকে মজিবুল হক চুনু, কাজী ফিরোজ রশিদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সহ আরও বেশ অয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
আরেক সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রওশন এরশাদের বাসায় আওয়ামীলীগের দুই নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং গহর রিজভি বিশেষ বৈঠকে বসেছেন।
অন্য দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেন মোহাম্মদ এরশাদের মুক্তি দাবী করেন।
জাতীয় পার্টির এই অবস্থার মাঝেই জাতিসংঘের উদ্যোগে শুরু হওয়া দুই প্রধান দলের বৈঠকের তৃতীয় দফা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে গুলশানে, বৈঠকে আওয়ামি লীগ এবং বিএনপি উভয় দলের পক্ষ থেকে দলীয় নেতারা উপস্থিত হন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে উভয় দল সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন এবং দুই দলই এ সকল প্রস্তাবের বিষয়ে অনেকটা ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন। তবে প্রস্তাব সমূহ বিএনপি এবং আওয়ামি লীগ এর নীতি নির্ধারণি পর্যায়ে আলোচনা হবে এবং সেখানকার সিদ্ধান্তের উপর আবার বৈঠকে বসা হবে।