দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে নানা অভিযোগ আসছে। এভারেস্টের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে না উঠেই এভারেস্ট জয়ের দাবি করেছিলেন এমন অভিযোগের পর এবার শোনা যাচ্ছে লাং সিসা জয় না করেও নাকি সেখানকার সার্টিফিকেট নিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ২৪ ডট কম।
সম্প্রতি নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক এভারেস্ট শৃঙ্গে উঠার লিস্টে মুসা ইব্রাহীমের নাম না থাকায় তিনি চরমভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। যদিও তিনি বলেছেন, এটি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। তবে এবার তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি লাং সিসা শৃঙ্গে উঠার যে সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন সেটিও নাকি ঠিক নয়। তার অভিযানে থাকা মীর শামসুল আলম বাবু এই অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর নেপালের লাং সিসা পর্বতশৃঙ্গ জয়ে যান মুসা ও বাবুসজ আরও ৬ জন। মীর শামসুল আলম বাবু জানান, ‘লাং সিসা অভিযানে ২০ হাজার ৭০০ ফুট উপরে ওঠার পর আমাদের গাইড থেম বাহাদুর তামাং জানান উপরে যাওয়ার যে ধরনের যন্ত্রপাতির দরকার তাদের তা নেই তাই আর উপরে যাওয়া যাবে না। আর সেখান থেকেই ফিরে আসা হয়।
এমন খবর দিয়েছে বিডিনিউজ২৪ ডট কম। শামসুল আলম বাবুর বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে বিডি নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে,শামসুল আলম বাবু বলেন, “গাইড ফিরে আসতে বললে মুসা সেখানেই সামিট করার কথা বলেন। কিন্তু আমি এর প্রতিবাদ করলে সে বলে আমরা শুধু ছবি তুলবো।”
“নেমে আসার পর সবাই আমাদের অভিনন্দন জানাতে থাকলে আমি মুসার কাছে বিষয়টি জানতে চাই। তখন মুসা জানায় পত্রিকায় নিউজ হয়েছে যে আমরা সামিট করেছি।”
“সামিটের সার্টিফিকেটের জন্য গাইডকে দিয়ে ক্লেইম করাতে হয়। মুসা গাইডকে কনভিন্সড করায় গাইড বলে আমরা সামিট করেছি। গাইডের সাক্ষ্যের প্রেক্ষিতে আমাদের তিনজনকে সামিটের সার্টিফিকেট দেয়া হয়, যেখানে লেখা ছিলো আমরা তিনজন ২১ হাজার ৮১ ফিট উপরে উঠেছিলাম।”
ওই সার্টিফিকেট নেননি দাবি করে বাবু বলেন, “দেশে ফেরার পরে এ বিষয়টির বিপক্ষে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখিও করি আমি।”
“এ বিষয়টি আমি পরবর্তীতে নেপাল মাউন্টেনিয়রস ক্লাবের কাছে কয়েকবার মেইল করার পরও সারা না পেয়ে হাতে হাতে অভিযোগপত্র পৌঁছে দিই। সেসময় ক্লাবের পক্ষ থেকে গাইড থেম বাহাদুর তামাংকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে স্বীকার করে যে মুসা বলেছিলো সামিটের কথা না বললে কোন টাকা দেয়া হবে না। এজন্য সে মিথ্যা বলেছিলো।”
শেষ কথা
সত্য-মিথ্যা সবই প্রমাণ সাপেড়্গ ব্যাপার। আর তাই মুসা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে দোষী সাব্যস্থ করা মোটেও ঠিক নয়। তাই পুরো ঘটনা প্রমাণ হওয়ার পরই কেবল জনসমড়্গে আসা উচিত বলে অনেকেই মনে করেন।