দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাইজেরিয়া ‘ডাইনি’ শিশুর কথা হয়তো অনেকের মনে আছে। সেই ‘ডাইনি’ শিশু এখন কেমন আছে? ডেনমার্কের একজন সমাজকর্মী ওই শিশুটিকে অর্ধমৃত অবস্থায় পথ হতে কোলে তুলে নিয়েছিলেন।
একদিন ‘ডাইনি’ শিশু বলে যে শিশুকে পথে ফেলে যাওয়া হয়েছিল, সেই শিশুর কথা হয়তো অনেকের মনে আছে। যাকে ডেনমার্কের একজন সমাজকর্মী অর্ধমৃত অবস্থায় পথ হতে কোলে তুলে নিয়েছিলেন। নাইজেরিয়া বেড়াতে এসে তিনি ওই শিশুর সন্ধান পান। তার ছবি তুলে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন।
নিষ্পাপ ছোট্ট এই শিশুটিকে তার বাবা-মা ‘ডাইনি’ আখ্যা দিয়ে ঘর হতে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। তারপর হতে ওই শিশুটি পথে পথে ঘুরে বেড়াতো ও খাবারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতো।
দীর্ঘ ৮ মাস পর সেই সমাজকর্মী আনজা শিশুটির ছবি পোস্ট করেছেন। আদর-যত্নে সে এখন অনেক সুস্থ এবং ভালো রয়েছে। আনজা এই শিশুটির নাম রেখেছিল হোপ। যার অর্থ হলো আশা। তাইতো সত্যিই সে আশা শেষ করেনি। হোপ এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। আপনি হোপের ৮ মাস আগের এবং পরের ছবি দেখে সত্যিই অবাক হবেন।
হোপের দেশে ফিরে আশার বিষয়টি অনেক ক্ষীণ হলেও সৌভাগ্যবশত সে জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়েছেন সেটি বলা যাবে। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা এখন অনেক ভালো। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে এখন অনেক সুখে রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, আনজা তার পোস্টে লিখেছেন যে, ‘আমি যেদিন প্রথম এই ছোট্ট শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়েছিলাম, আমি তখন ভেবেছিলাম সে হয়তো বাঁচবে না। সে অনেক কষ্টে তার প্রতিটি নিঃশ্বাস নিচ্ছিল। আমি চাইনি সে কোনও নাম এবং উপাধি ছাড়া মৃত্যুবরণ করুক। সেজন্য আমি তার নাম রেখেছিলাম হোপ। আমি অনেক বছর আগে আমার হাতে হোপ নামের একটি ট্যাটু করিয়েছিলাম। কারণ আমি জানি যে, এই হোপ মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন সাপোর্ট প্রদান করে থাকে।’ এভাবেই উঠে এসেছে এক পরিত্যক্ত শিশুর কাহিনী।
উল্লেখ্য, এ সংক্রান্ত একটি খবর “জাদুকর ভেবে সন্তানকে রাস্তায় ফেলে দিলো এক মা-বাবা!” দি ঢাকা টাইমস্ এ প্রকাশ করা হয়।