দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন মানেই হাসি আর কান্না। জীবনে সুখের পাশাপাশি বেদনাও থাকে, তাই কঠিন সময়গুলো মাথা ঠাণ্ডা করে রাখতে হয়। জীবনকে সবসময়ই উপভোগ করতে হয় যাতে দুঃসময়ে এইসব স্মৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নেয়া যায়। আর জীবনকে উপভোগ করা মানেই জীবনকে অনুপ্রাণিত করা। আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসে্র পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো কিভাবে আপনি নিজেই আপনার জীবনকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন।
১. জীবনকে একক হিসেবে চিন্তা না করে বরং অনেকগুলো নতুন দিনের সমষ্টি হিসেবে চিন্তা করতে হবে। আর এই সব দিনের সুন্দর একটি শুরুর জন্য দরকার পরিপূর্ণ ঘুম। যা আপনাকে করে তুলবে স্নিগ্ধ এবং সুন্দর একটি দিনকে পরিপূর্ণভাবে উদযাপন করার জন্য দিবে সুন্দর শুরু। পরিপূর্ণভাবে ঘুমালে আপনি পাবেন প্রচুর জীবনীশক্তি যা আপনাকে সারাদিন রাখবে প্রাণোচ্ছল। পরিপূর্ণ ঘুম বলতে বোঝানো হচ্ছে সারা রাতের ঘুমকে। কারণ সারা দিন ঘুমানো শরীরের যেমন খারাপ তেমনি মস্তিস্কে ঝিম ভাব ধরে রাখে যা আপনাকে কোন কিছুর প্রতি খুব তাড়াতাড়ি বিরক্ত করে তুলবে।
২. খাদ্যাভ্যাসকে গড়ে তুলতে হবে সঠিক নিয়মে। ঠিক সময়ে খেতে হবে, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না এবং খাওয়ার তালিকাকে করতে হবে সুষম। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি। কারণ এগুলো সারাদিনে আপনাকে দিবে অফুরন্ত প্রাণশক্তি যা আপনাকে সারাদিনই রাখবে সতেজ। আমাদের দেশের গ্রামবাংলায় একটি প্রচলিত কথা আছে পেট তাজা তো মন তাজা।
৩. পছন্দের মানুষের তালিকা তৈরি করুন এবং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। আপনি তাদেরকেই আপনার কাছের মানুষের তালিকায় রাখবেন যাদের আপনি মন থেকে পছন্দ করেন এবং যাদের সময় কাটানো আপনি উপভোগ করেন। পছন্দের মানুষ মেয়ে বা ছেলে যে কেওই হতে পারে তাদের সাথে প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় কাটান। এতে করে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি ও অবসাদ অনেকটাই চলে যাবে এবং নিজের মানুষ হিসেবে তারা আপনাকে যেমন বুঝবে তেমনি দিতে পারে কোন কঠিন বিষয়ে সহজ সরল সিদ্ধান্ত, যা আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়া মনের দুশ্চিন্তা তাদের সাথে শেয়ার করে হতে পারেন হালকা।
৪. উদ্দীপনা পূর্ণ অবস্থায় কাজ করুন। কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা না করে বরং তাৎক্ষণিক বা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন। যা আপনার মাথাকে অনেক চাপের হাত থেকে রক্ষা করবে। শুধুমাত্র একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে এরকম তাৎক্ষণিক কোন সিদ্ধান্ত আপনার জীবনে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না করে। নিজের ভেতরের মানসিক অস্থিরতা দূর করতে গান শুনতে পারেন যে গানগুলো সবসময় আপনার মন ভালো করে দেয়।
৫. সবসময় নিজেকে প্রেরণা দিতে থাকুন। নিজেকে বোঝান আপনি পারবেন, আপনার দ্বারা হবে এতে করে আপনি কখনোই কাজের উদ্দীপনা হারাবেন না। নিজেকে কোন জায়গায় নিতে চান তা আগে ঠিক করুন। আর লক্ষ্য ঠিক করার পর সেই লক্ষ্য অর্জনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। শুধু যেটা মাথায় রাখতে হবে তা হলো লক্ষ্য অর্জনে সংকল্পবদ্ধ থাকুন। নিজেকে উদ্বুদ্ধ করুন সব কিছুর ব্যাপারে এবং এই শিক্ষাই বাস্তব জীবনেও প্রয়োগ করুন।
৬. বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ হিসেবে বলা যায় বই হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। বই পড়ুন যেকোনো বিষয়ের উপর, যা পছন্দ তাই পড়ুন। এতে করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনার নানামুখী জ্ঞান বাড়বে, যা আপনাকে জীবনে চলার পথে অনেক কঠিন মুহূর্তে সাহায্য করবে।
৭. কিছু ভালো বন্ধু-বান্ধবী বানান যারা আপনার প্রতি যত্নশীল। তাদের সঙ্গে সময় কাটান, যত পারেন উপভোগ করুন, উদযাপন করুন। কোথাও ঘুরতে যান, শপিংয়ে যান এক কথায় যেখানে ইচ্ছা যান। এতে করে একঘেয়েমিপূর্ণ জীবন থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি মিলবে এবং তা আপনাকে পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুত করবে মানসিকভাবে। আর বন্ধুদের সাথে সময় কাটালে মজা করার পাশাপাশি আপনি ভালো বোধ করবেন পছন্দের মানুষগুলোর মাঝে থাকতে পেরে।
৮. ভ্রমণ করা শুরু করুন। যা দেখতে ইচ্ছ করে সেখানেই যান, যেখানে যেতে মন চায় সেখানেই যান। আনন্দ করুন, ফুর্তি করুন এবং জীবনকে উপভোগ করুন। ভ্রমণের ব্যাপারে আপনি একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন পছন্দ অনুযায়ী। কোথায় কোথায় যেতে চান তার উপর পছন্দের প্রাধান্য দিয়ে কোথায় আগে যাবেন আর কোথায় পরে এভাবে সাজাতে পারেন।
৯. আপনার শখকে আবিষ্কার করুন এবং এর প্রতি নজর দিন। হয়তো এটি আপনাকে সাফল্য মন্ডিত করতে পারে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সামনে। আপনি হয়তো এর মাঝেই জীবনে বৈচিত্র্যতা নিয়ে সামনে তাকানোর এবং নতুন উদ্দীপনায় কোনো কিছু নিয়ে আগানোর বিষয় পাবেন। ছবি আঁকা থেকে শুরু করে গাড়ি চালানো, সাইকেল চালানো, খেলাধুলা, সার্ফিং, দাবা খেলা ইত্যাদি যে কোনো কিছুই হতে পারে আপনার শখের বিষয়বস্তু।
তথ্যসূত্রঃ আমেরিকাঙ্কি