দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি না মেনে সরকার এখন বিরোধী দল ছাড়াই ‘একদলীয়’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অবস্থায় ১৮ দলীয় জোট নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর টানা অবরোধ কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর সরকারি দল আওয়ামীলীগ যখন প্রধান বিরোধী দল ছাড়াই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে তখন নির্বাচন ঠেকাতে বিরোধী দল তথা ১৮ দলীয় জোট ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পর পর তিন সপ্তাহের প্রথম ২ সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার ও পরে ৮৪ ঘণ্টার টানা হরতাল করেছে ১৮ দল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতাদের আত্মগোপনে রেখেই সর্বাত্মক আন্দোলনের কৌশল নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ জোট। তাদের ধারণা, এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্রকাশ্যে রাজপথে নেমে এলে তাদের গ্রেফতার করা হবে। ফলে আন্দোলনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টিতে নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া। তবে আত্মগোপনে থাকলেও শীর্ষ নেতারা যেন তৃণমূলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এবং আন্দোলনের মাঠে তাদের পরিচালনা করেন, চেয়ারপারসনের সেই নির্দেশনাও নাকি রয়েছে।
অপরদিকে সরকার সর্বদলীয় সরকার গঠনের যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে তা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে টানা অবরোধ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট।
সমঝোতা না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে টানা অবরোধ কর্মসূচি দিবে বিরোধী দল। রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথের সর্বাত্মক অবরোধের মাধ্যমে দেশ অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি নেবে বিরোধী দলীয় জোট। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানতে সরকারকে এমন কঠিন কর্মসূচি দিয়ে বাধ্য করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সময়ই বলে দেবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে। আর সেজন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না।