দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদিও বর্তমানে শুধু আমেরিকাই নয়, গোটা বিশ্বেই মহাকাশ গবেষণায় সকলের ধরা ছোঁয়ার নাগালের বাইরে এগিয়ে রয়েছে নাসা, তারপরেও এটি ভাবলে ভুল হবে যে আমেরিকার সরকারচালিত এই সংস্থাটি মহাকাশ বিজয়ের প্রথম পরিকল্পনাটি করে। আমেরিকাকে মহাকাশ বিজয়ের প্রথম পরিকল্পনাটি করে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স (ইউএসএএফ)।
১৯৫৮ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের হাতে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় নাসা। বিশেষভাবে মহাকাশ গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটির অনেক আগে থেকে মহাকাশ বিজয়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো আমেরিকা। আর সে সময় শুধু মহাকাশ জয়ই নয়, আমেরিকাকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনাটি করে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স (ইউএসএএফ)। চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স (ইউএসএএফ) যে প্রজেক্টটি হাতে নেয়, তার নাম লুনেক্স। পরিকল্পিত এই মহাকাশ অভিযান তার সমকালীণ প্রযুক্তির চেয়ে অনেক বেশী এগিয়ে ছিলো। চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনাও থাকে লুনেক্সের।
ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স (ইউএসএএফ) এর করা এই পরিকল্পনায় চন্দ্র বিজয়ের জন্যে তিন-ধাপের একটি রকেট ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়। বিমান প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত এই সংস্থাটির মতে এই ধরনের রকেট দিয়ে খুব সহজেই চাঁদের বুকে অবতরণ করা সম্ভব হবে। পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্যে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স (ইউএসএএফ) যে মডিউলটির পরিকল্পনা করে, সেটাকেই এই পরিকল্পনার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ বলা যায়। ‘আর্থ রিটার্ন ভেহিকেল’ নামের ত্রিকোণ এই যানের পরিকল্পনায় তৎকালীন সময়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার পাউন্ড ওজন বহন করার পরিকল্পনা করা হয়, যা সে সময় পুরোপুরি অসম্ভব ছিলো। পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে আবার ফিরে আসা পর্যন্ত পুরো অভিযানটি ছয় ধাপে ভাগ করা হয়।
বলা হয়ে থাকে, আমেরিকার সরকার ১৯৬৭ সালে প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনার অনুমোদন দিলে রাশিয়ানরা তাদের কখনোই মহাকাশ প্রযুক্তিতে স্পর্শ করতে পারতো না। অন্যদিকে একটি সামরিক বাহিনীর হাতে না দিয়ে বেসামরিক সংস্থার হাতে মহাকাশ গবেষণার দায়ভার দেয়ার প্রশংসাও করেন অনেকে।
তথ্যসূত্র: দিটেকজার্নাল