দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিপাইনে বিধ্বস্ত এলাকায় মানুষের আহাজারি এখনও শেষ হয়নি। চারিদিকে শুধুই লাশের গন্ধ।
ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে বিধ্বস্ত ফিলিপাইনের টাকলোবানে মৃতদেহের দুর্গন্ধে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। রাস্তায় ওপর কালো ব্যাগে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মৃতদেহ। এরপাশ দিয়ে মানুষ মুখে কাপড় গুঁজে হেঁটে যাচ্ছে।
এদিকে চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া, পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া ও নানা রকম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে এক করুন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাধ্য হয়ে তারা বিভিন্ন বাজারে, দোকানপাটে লুটপাট করছে। এমন এক অবস্থায় গতকাল টাকলোবানে ৩০টি মৃতদেহ গণকবর দেয়া হয়েছে। এ সময় কোন প্রার্থনা পর্যন্ত করা হয়নি। শুধুমাত্র গর্ত খুঁড়ে তাতে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে মেয়র আলফ্রেড রোমালডেজ নিজেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন দৃশ্য দেখে বোঝা যাচ্ছে ফিলিপাইনে কি ঘটে গেছে। শত শত আহত মানুষ, অন্তঃসত্ত্বা, শিশু ও প্রবীণকে রাখা হয়েছে বিধ্বস্ত বিমানবন্দরে স্থাপিত একটি তাঁবুতে। সেখানে মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে। ওষুধ নেই-খাদ্য নেই বললেই চলে। দৃশ্যত কোন সুবিধা সেখানে নেই। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসকও। চিকিৎসকরা এখন মারাত্মক আহত ও অন্তঃসত্ত্বাদের জটিলতা নিয়েই বেশি ব্যাস্ত। তারাই সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। কর্তৃপক্ষ গতকাল পর্যন্ত ২৩৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এ সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দু’টি দ্বীপে। তা হলো সামার ও লেটে।
এদিকে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচি বুধবার টাকলোবান এলাকায় ৫০ হাজার দুর্গত মানুষের কাছে চাল ও বিভিন্ন রকম দ্রব্য বিতরণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ টন বিস্কুট। আরও ২৫ টন বিস্কুট সেখানে বিতরণের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে স্মরণকালের এক বৃহত্তম ঘুর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত, বহু মানুষ আহত ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।