দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। সব কিছুই যেনো এক এলোমেলো অবস্থা। আসলে কি হতে যাচ্ছে?
জনগণের মধ্যে এমন অনেক প্রশ্ন দানা বেঁধে উঠেছে। কারণ গত তিন দিনে যা কিছু ঘটছে, তা এক এলোমেলো অবস্থা বলা যায়।
# তারেক রহমানের মামলার রায় এবং বেকসুর খালাস
# বিএনপির ৫ নেতার রিমান্ড স্থগিত
# সর্বদলীয় সরকারের নতুন মন্ত্রীদের শপথ
# বিএনপির হরতাল কর্মসূচি স্থগিত
সব মিলিয়ে এক তালগোল অবস্থা। জনগণ একবার ভাবছে, মনে হয় বিএনপির সঙ্গে সরকারের কোন দফা-রফা হয়েছে। তা নাহলে তারেকের মামলার রায় এমন হবে কেনো? স্বয়ং বিএনপিই তো রায়ের আগে বলেছিল এ মামলার রায় সরকারের সাজানো, রায় কি হতে তা জনগণ জানে ইত্যাদি ইত্যাদি। তার মানে বিএনপি ধরেই নিয়েছিল তারেককে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। কিন্তু ঘটনা যখন ঘটলো তার উল্টো, তখন জনগণ আবার ভাবতে শুরু করলো, নিশ্চয়ই সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোন রফা হয়েছে।
বিএনপির ৫ নেতাকে প্রয়োজন ছাড়াই রিমান্ডে নেওয়াকেও রাজনৈতিক প্রতিহিসংসা এমনটা বিএনপি বলে আসছে। ৫ নেতাকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও আবার হঠাৎ করেই সে রিমান্ড স্থগিত হলো উচ্চ আদালতে। যেখানে যেভাবেই হোক না কেনো, রিমান্ড স্থগিতকেও জনগণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধরে নিয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে নেওয়াকে বিএনপির জন্য বুমেরাং হয়ে দেখা দিল। জনগণের হিসাব-নিকাশ যেনো হঠাৎ করেই পাল্টে গেলো। সর্বশেষ এখন আজ বিএনপি রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য। যাতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি সকাল-বিকাল-রাতে পরিবর্তন ঘটছে। আর জনগণ সেই ধোয়াশার মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। এমনকি মাত্র একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তাও শুক্রবার বন্ধের দিন। অবশ্য জনগণ এতে খুশিই।
যত ধোয়াশা বা যে পরিস্থিতি যেদিকেই যাক জনগণ মনে করে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়া দরকার। কারণ দেশের বড় একটি দল নির্বাচনে না গেলে- সে নির্বাচনে অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে জনগণ নিস্তার চাই। আমাদের সকলের প্রত্যাশাও তাই।