দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ রাখে আল্লাহ মারে কে? এই প্রবাদকে সত্য প্রমাণিত করতেই যেন সমুদ্রের তলদেশে টাগবোটে আঁটকে পড়া একজনকে তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। একটি তেল কোম্পানির টাগবোট উল্টিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার শেফ হ্যারিসন ওকেনকে উল্টানো টাগবোট থেকে তিনদিন আঁটকে থাকার পর উদ্ধারকারীরা উদ্ধার করে।
নাইজেরিয়ার উপকূল থেকে সমুদ্রের ৩০ কিলোমিটার গভীরে টাগবোট জ্যাসকন-৪ দূর্ঘটনার শিকার হয় এবং উল্টিয়ে যায় টাগবোট। ঘটনার সময় ২৬ মে, ভোর পাঁচটা। হ্যারিসন ওকেন নৌকোটি উল্টে যাওয়ার সময় শৌচাগারে ছিলেন এবং কিছুক্ষণ পর তার অবস্থান হয় উল্টানো নৌকার ভিতরে, যেখানে সামান্য বাতাসের গহবর ছিলো। ঘুটঘুটে অন্ধকার, সমুদ্রের ঠান্ডা, ক্ষুধা, তেষ্টা এবং ভয় সবমিলিয়ে বীভৎস সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন হ্যারিসন।
সেই অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে হ্যারিসন জানান, ‘তার চারপাশে ছিলো অন্ধকার এবং উত্তাল। জেসাসের কাছে প্রার্থনা করেন তাকে বিপদ হতে রক্ষা করতে এবং একইসাথে কেঁদেছেনও তিনি। ক্ষুধা এবং তেষ্টার কষ্ট সহ্য করতে করতে সামান্য আলোর দেখার প্রার্থনা করেছিলেন তিনি।
খানিক বাতাসের অল্প অক্সিজেন এবং এক বোতল কোকাকোলা এই নিয়েই তিনদিন টিকে ছিলেন হ্যারিসন। তার ভয় ছিলো মাটিতে ফিরলে তিনি আর নিঃশ্বাস নিতে পারবেন না অতিরিক্ত নাইট্রোজেন গ্রহণ করার ফলে। জাহাজ সংস্থার কর্মী কর্তৃক তিনি উদ্ধার হওয়ার পর সুস্থতা লাভ করতে দুইদিন কমপ্রেশন চ্যাম্বারে কাটিয়েছেন।
ট্যাগবোটে হ্যারিসন ওকেনসহ নাবিক ছিলো মোট ১২ জন। দূর্ভাগ্যক্রমে হ্যারিসন বাদে সবাইকে মৃত্যু ভাগ্য বরণ করে নিতে হয়। ট্যাগবোটের নাবিকদের মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতেই জাহাজ সংস্থার উদ্ধাকর্মীরা সেখানে পৌছান এবং আশ্চর্যজনভাবে বেঁচে থাকা হ্যারিসনকে উদ্ধার করেন। এই প্রেক্ষিতে বলা যায় হ্যারিসন ওকেন খুবই সৌভাগ্যবান একজন মানুষ।
তিনি কিভাবে সেখানে ছিলেন এবং উদ্ধারের ভিডিওটি দেখুনঃ
http://youtu.be/oOyA84-ZgEU
তথ্যসূত্রঃ বাজফিড