দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রায় কার্যকর করা হবে এমন ঘোষণার পর দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ব্যাপক নাশকতা। গাজীপুরে একটি কাভার্ড ভ্যানে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে এক শিশু ও তার মা। যদিও আদালত আজ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রায় স্থগিত রেখেছে।
হঠাৎ করে রায় কার্যকরের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। গাজীপুর সদর উপজেলার ঢাকা-বাইপাস সড়কের মোগরখাল এলাকায় অবরোধ সমর্থকদের ছোড়া পেট্রলবোমায় একটি কাভার্ডভ্যানের যাত্রী শিশু ও তার মা নিহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ সমর্থকেরা পারটেক্স গ্রুপের একটি কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশে পেট্রলবোমা ছুড়ে অগ্নিসংযোগ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে ভ্যানে থাকা আদম আলীর স্ত্রী ও তার মেয়ে শিশু পুড়ে মারা গেছে। এ ছাড়া আদম আলীসহ তাঁর দুই বছরের মেয়ে সাদিয়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কতিপয় দুর্বৃত্ত ওই ভ্যানের সামনের অংশে পেটলবোমা ছুড়ে মারে। এ সময় বোমা থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গাড়ির চালক ও হেলপার বেরিয়ে আসতে পারলেও সামনের আসনে থাকা মা ও মেয়ে শিশুটি পুড়ে মারা যায়। একই সঙ্গে ওই গাড়ির যাত্রী আদম ও তাঁর মেয়ে সাদিয়া দগ্ধ হন। আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে আহত আদম আলী জানান, কাভার্ডভ্যানটি বগুড়া যাচ্ছিল। তাঁরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে যাওয়ার জন্য ওই ভ্যানে উঠেছিল। তার স্ত্রী সুমি আক্তার (২৮) ও তার মেয়ে সানজিদা আগুনে পুড়ে ভ্যানে মারা গেছে। তবে তিনি ছোট মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে নেমে গিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন। গাজীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগুনে আদম আলীর পা এবং সাদিয়ার পা দ্বগ্ধ হয়েছে।
এদিকে আজও চলছে অবরোধের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর হরতাল। আজ বুধ ও বৃহস্পতিবার তারা এই হরতালের ডাক দিয়েছে। রাজধানীতে আইন শৃংখলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য আইন শৃংখলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। আজও রাজধানীতে চলছে মিনিবাস, টেম্পো, সিএনজি। তবে অন্যদিনের থেকে কিছুটা কম মনে হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।