দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক সহিংসতা ঘটেছে গতকাল। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পর এসব ঘটনা ঘটলো। এতে আওয়ামীলীগ ও জামায়াত শিবিরের কর্মীসহ নিহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে গতকাল শনিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস হামলা ও নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির। এসব ঘটনায় গতকালও ঝরে গেছে ১৩টি প্রাণ।
নীলফামারীতে বিনা উসকানিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা করায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ৬ জন নিহত হন। সংঘর্ষে টুপামারী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী (৫০), যুবলীগকর্মী ফরহাদ হোসেন (২৮) ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক (৩০) নিহত হন। গুরুতর আহত আওয়ামী লীগকর্মী লেবু মিয়া ও ছাত্রলীগকর্মী মুরাদ হোসেনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে তাদের মৃতু ঘটে। অবশ্য জামায়াত শিবির দাবি করেছে তাদের ১ জন মারা গেছে।
অপরদিকে গতকাল শনিবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৬ জন। এদেরকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে শিবির। নিহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রাসেল (৩২), শিবিরকর্মী সাইফুল ইসলাম (১৯), মতিউর রহমান সজীব (১৭), রায়হান (২২) ও আবদুস সাত্তার (২৮)।
সিলেটে এক আওয়ামী লীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অফিস, যানবাহন, পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়াসহ নানা ধরনের নাশকতা ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা।
অপরদিকে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেওয়ার প্রতিবাদে আজ রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার ফাঁসিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে জামায়াত এর প্রতিবাদে এ কর্মসূচির ডাক দেয়।
আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই হরতাল। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীতে মিনিবাস চলছে অন্য হরতালের থেকে অনেক বেশি। টেম্পো, সিএনজি চলছে স্বাভাবিকভাবে। আইনশৃংখলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। ট্রেন ছেড়ে গেছে যথারিতি। তবে অন্যবারের মতো দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি।