দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে গত দু’দিনে অবরোধ-হরতালে নাশকতা আরও বেড়েছে। আগের সপ্তাহে এক কম মনে হলেও গতকাল আরও বেশ কয়েকটি পেট্রোল বোমার ঘটনা ঘটেছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় গতকাল পেট্রোল বোমা ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। এতে মনে হয়েছে এ সপ্তাহে নাশকতা আরও বেড়েছে। যদিও আইনশৃংখলা রক্ষাকারীরা দাবি করছেন পরিস্থিতির অনেক উন্নতি ঘটেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তার উল্টো।
রাজধানীতে হরতাল শব্দটি শোনা না গেলেও সন্ধ্যা নামলেই ভীত সন্তস্ত্র মানুষ আর বাইরে বের হতে চাচ্ছেন না। কারণ গাড়িতে বোমা মারার ঘটনাগুলো বেশির ভাগ সন্ধ্যার পরেই ঘটে থাকে। গতকাল রাতে একাত্তর টিভির এক সাংবাদিক এবারই প্রথম পেট্রোল বোমার শিকার হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় রামপুরায় আলিফ পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমায় সাংবাদিক আরিফুল শাকিল আহত হন। গতকাল বগুড়া, জয়পুরহাট, লক্ষ্মীপুরসহ বেশ কিছু স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হরতালে রাজধানীর বাংলামটর হতে সোনারগাঁও মোড়ের দৃশ্য
এদিকে লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারণে এসএসসি পরীক্ষা বার বার পেছাচ্ছে। জনগণের মধ্যে নেমে এসেছে নানা আশঙ্কা। কারণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর কতদিন এভাবে ঘরের বাইরে বের হবেন সেটিই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক দেখা গেলেও অর্থনীতিতে নেমে আসছে ধস। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, কল-কারখানায় কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। পরিবহন খাত চালু থাকলেও ট্রাকের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। সব মিলিয়ে এক অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থা আর কতদিন অব্যাহত থাকবে সেটিই জনগণের প্রশ্ন।