দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাসড়কে কিছু কিছু রুটে দূরাপাল্লার বাস চলাচল করছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহি যানবাহনও চলাচল শুরু করেছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধে অব্যাহত সহিংসতার প্রেক্ষিতে গত ৫ দিন ধরে দেশের প্রধান প্রধান সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে সরকার। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ কয়েকটি মহাসড়কে পুলিশ পাহারায় যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। যদিও গতকাল পুলিশ প্রহরারত অবস্থায় নোয়াখালিতে বিআরটিসির বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। পুলিশ-র্যাব-বিজিবির পাশাপাশি ওই সব মহাসড়কে শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসাবে সেনাবাহিনীও টহল দিচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সেনাবাহিনী নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে যাবে। ওই দিন থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরো উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে গত কয়েকদিন যাত্রী সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে নিরাপত্তা জোরদার করায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস চলাচল। একইভাবে যশোর-বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের চলাচলও দ্বিগুণ হারে বেড়েছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করায় আমদানি-রপ্তানিকারক এবং শিল্প-মিলকারখানা ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ভীতি অনেকটাই কেটে গেছে। যানবাহন চালকদের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে গেছে।
ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি। যার খেসারত দিতে হয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, মিল কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে। এতে উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো ও উৎপাদনের সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তাই এ খাতকে স্বাভাবিক রাখলে মানুষের জীবনযাত্রার মান বজায় থাকবে।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, হরতাল-অবরোধে চরম বিপর্যয়ে পড়ে অর্থনীতির চাকা। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং যশোর-ঢাকা মহাসড়কসহ দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্ন করতে পারলে অর্থনীতির অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তারা এসব মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।