দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রাস্তার দুই পাশে কাঁচা-পাকা ঘর তৈরির হিড়িক পড়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের জন্য এসব জমি অধিগ্রহণ করা হবে ফলে ঐ সড়কের আশেপাশের এলাকায় ঘর তৈরির এমন হিড়িক লেগেছে।
সরকার রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহন করবে, এ ক্ষেত্রে শুধু জমির জন্য আলাদা অর্থ দেবে এবং ঐ জমিতে যদি বসত ভিটা থাকে তবে তার জন্য আলাদা করে অর্থ দেয়া হবে। ফলে রাস্তার পাশে হঠাৎ করে ঘর তৈরির এমন উদ্যোগ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অসংখ্য ঘর উঠছে রাস্তার পাশের কৃষি জমিতেও। একইভাবে রেলওয়ের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী দ্বৈত (ডাবল) রেললাইন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য যেসব জমি অধিগ্রহণ হতে পারে, সেগুলোতেও বাড়তি ক্ষতিপূরণের আশায় ঘর তৈরি শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রেললাইনের পাশের জমির মালিকেরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু ঘর নির্মাণ করছেন।
সরকারী উন্নয়ন কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ নতুন কিছু নয়। তবে জমি অধিগ্রহণের সুযোগে জমির প্রকৃত দামের চেয়ে বাড়তি মূল্য বুঝে নেয়ার জন্য সচেষ্ট একটি মহল। আর সরকারের ভেতরের কিছু কর্মকর্তা এক্ষেত্রে সরাসরি সহায়তা করছে বলে দাবি করছে একটি মিডিয়া। সরকারী প্রকল্পের কাজে জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম উঠা না উঠার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে জরিপে নিয়োজিত সরকারী কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে সরকার ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। খুব জলদি এসব জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেন করতে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় প্রায় ৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় হবে প্রায় সাড়ে ১০ একর। আর জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির এখন সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। সেখানেও অল্প কিছুদিনের মাঝেই অধিগ্রহণের জন্য বাজেট দেয়া হবে।
সদ্য নির্মিত রাস্তার পাশে কাঁচা পাকা এসব ঘর তৈরির ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোনও রকম হালকা সিমেন্ট এবং বাঁশের গাঁথুনির সাহায্যে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তা ছাড়া এসব ঘরে তেমন কেউই থাকেনা। কেবল লোক দেখাতেই এই সব ঘর বাড়ি নির্মাণ।
এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, “কেউ যদি নিজের জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন সেখানে তো কেউ বাঁধা দিতে পারবেনা! তবে এটা ঠিক এসব ঘরবাড়ি উঠার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে বেশি অর্থ লাভ! কারণ তারা জানে সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে জমির জন্য আলাদা এবং ঘরবাড়ির জন্য আলাদা করে মূল্য দেবে।”