দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিষণ্ণতা মানুষের দৈহিক এবং মানসিক গতি কমিয়ে দেয়। অল্পতেই ক্লান্তি আসে দেহ মনে। সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে – তিন ধরনের খাদ্য গ্রহণের সাথে আমাদের বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে। আজকে সেসব খাদ্য সম্পর্কে জানা যাক।
দীর্ঘদিনের বিষণ্ণতা আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। আমরা জীবন ধারণের জন্য সচরাসচর যে ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে থাকি সেগুলো বিষণ্ণ করে তুলতে পারে। এইধরনের খাবারসমূহ এড়িয়ে চলা কর্তব্য সবার।
মিহি শস্যদানা দিয়ে তৈরিকৃত খাদ্যঃ
কেনাকাটা, জব কিংবা ঘুরে বেড়ানো – এমন ব্যস্ত সময়ে যে কেউ অতি দ্রুত পুষ্টিমানসমৃদ্ধ খাদ্য হিসাবে পাস্তা গ্রহণ করতে পারেন। পাস্তা, সাদা ভাত কিংবা ব্রেডজাতীয় খাবার ৫০ থেকে ৭৭ বয়সী নারীদের বিষণ্ন করে তুলতে পারে। মস্তিষ্ক, আচরণ এবং মুক্তি সম্পর্কিত একটি জার্নালে এই বছরের অক্টোবর মাসে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় ৪০,০০০ নারীর খাদ্য অভ্যাস সম্পর্কে জানা হয় যখন তাদের কেউ বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়নি। এরপর তাদেরকে উপরে উল্লেখিত খাদ্যসমূহ খেতে দেওয়া হয়। গবেষণার শেষে দেখা যায় সেসব নারীর অনেকেই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়েছেন।
কোমল পানীয়ঃ
কোলা জাতীয় কোমল পানীয় গ্রহণ করার সাথেও বিষণ্ণতার সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় এই তথ্য জানা গিয়েছে – সুতরাং যারা তৃষ্ণা মেটাতে সোডা বা কোলা গ্রহণ করেন তাদের উচিত বিষণ্ণ থেকে বাঁচতে এই অভ্যাস এড়িয়ে চলা।
ফাস্ট ফুডঃ
২০১২ সালে প্রকাশিত পাবলিক স্বাস্থ্য পুষ্টি সম্পর্কিত একটি জানার্লের গবেষণায় জানা যায় – যারা ফাস্ট ফুড গ্রহণ করেন না তাদের চেয়ে শতকরা ৫১ ভাগ বেশি বিষণ্ণতায় ভুগেন যারা ফাস্ট ফুড গ্রহণ করেন। হামবার্গার্স, হট ডগ, পিজার সাথে বিষণ্ণতার সম্পর্ক পাওয়া যায়। সুতরাং যতই লোভনীয় এবং সুস্বাদু হোক সুস্থ জীবন যাপনের জন্য এইসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
তথ্যসূত্রঃ লাইভসায়েন্স