ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ॥ ক্ষমতাসীনদের বালু উত্তোলনের কারণে দেশের বৃহত্তম রেল সেতু পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হুমকির মুখে নিপতিত হয়েছে।
শত বছর আগে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নিয়ে উদ্বিগ্ন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ব্রিজটির নিচ থেকে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেয়ায় সেটি এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে বসেছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার মহোৎসব চলছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতু নিষিদ্ধ সীমানার মধ্য থেকে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ব্রিজ ও এর রক্ষাবাঁধের নিরাপত্তাসীমানার মধ্যে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী দফতর থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য একের পর এক চিঠি লিখেও কোন কাজ হচ্ছে না বলে জানা গেছে। ব্রিজটির পাকশী প্রান্তের ৪নং পিলারের কাছে একটি ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। সেখান থেকে অবাধে নদীর নিচ থেকে বালু উত্তোলন ও ডাম্পিং করে সেখান থেকেই বিক্রি করা হচ্ছে। দেড়শ’/দু’শ শ্রমিক এ বালু ও মাটি কাটা, ট্রাক লোড ও বিক্রির কাজে প্রতিদিন নিয়োজিত থাকে। বালুর টাকা আদায়ের জন্য এখানকার পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের জনৈক কর্মী কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।
পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার লোকজন ইজারা নিয়ে বালু ও মাটির ব্যবসা করছেন। এ ব্যাপারে পশ্চিম রেলওয়ের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ব্রিজ) শাহজাহান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এভাবে যদি বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকে তাহলে দেশের সর্ববৃহত এই রেল সেতুটির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। তাই সময় থাকতে তরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।