দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে প্রত্যেক সু-নাগরিকের আয় কর দেয়া আবশ্যক, কিন্তু আয় কর দেয়ার জন্য লাগে Taxpayer’s Identification Number বা সংক্ষেপে TIN। TIN নাম্বারের জন্য আবেদন করার বিষয়ে খুটি নাটি নিয়েই আজকের দি ঢাকা টাইমসের এই প্রতিবেদন।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সকল নাগরিক যাদের বাৎসরিক আয় দুই লাখ বিশ হাজার টাকা বা তার বেশি তাদের সকলকে আয়ের উপরে নির্দিষ্ট অংকের ট্যাক্স প্রদান করতে হয় যাকে সাধারণ ভাষায় আয় করও বলা হয়। সাধারণত আয়কর অনেকেই দিয়ে থাকেন, চাকুরি জীবীরা অনেকেই বেতনের হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই আয়কর দিয়ে থাকেন তা তাঁরা অনেকেই জানেন না কারণ এই কর হিসেব করে কোম্পানি তাদের বেতন থেকেই পরিষদ করে থাকেন বিভিন্ন ফার্মের মাধ্যমে, এতে বাড়তি অর্থ গুনতে হয়। অন্য দিকে ব্যবসায়ীরা আলাদা আয় কর আইনজীবীর সাহায্যে অর্থের বিনিময়ে নিজেদের Taxpayer’s Identification Number এর জন্য আবেদন করে থাকেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড আয়কর নম্বরের জন্য আবেদন সহ ইন্টারনেটেই আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং মুসক বা মূল্য সঞ্জজন কর সহ সব কিছুই পরিষদের সুযোগ দিচ্ছে।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার নিজের TIN নাম্বারের জন্য আবেদন করবেন, প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইটে যান। সেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন আই-টিএইএন নামে একটি অপশন আছে তাতে ক্লিক করুন। এবার আপনাকে দেখাবে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি অপশন। আপনি যদি নতুন কর দাতা হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই রেজিস্ট্রশনে ক্লিক করতে হবে, অপর দিকে পুনরায় রেজিস্ট্রশন ব্যবস্থা হচ্ছে যাদের আগে থেকেই টিন নম্বর আছে কিন্তু ডিজিটাল করা হয়নি তাদের জন্য। রেজিস্ট্রেশন পেইজ ওপেন না হলে ঘাবড়ে যাবেন না, সমস্যা সমাধানে এখানে ক্লিক করুন।
এবার আপনি আপনার জন্য প্রযোজ্য বিষয় সমূহ নির্ধারণ করে, প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেসন করে আপনার আবেদন ফর্ম দাখিল করুন। ফর্ম পূরণে যেকোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই সাহায্য অংশ থেকে দেখতে নিতে পারবেন।
আপনার আবেদন সাবমিট করার পর নির্দিষ্ট সময় পরেই আপনার টিন নম্বর আপনাকে সরবরাহ করা হবে। আপনি এই নম্বর দিয়ে যেকোনো প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিতে পারবেন। আয়কর জমা দেয়া, রিটার্ন দাখিল কিংবা মূল্য সঞ্জজন কর জমা দেয়া সব কাজ আপনি রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইটে গেলেই সেরে নিতে পারবেন আপনার ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে।
মনে রাখবেন তথ্য জেনে এবং জানা জ্ঞান প্রয়োগ করার মাধ্যমে আপনি অন্যের উপরে নিজের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে পারবেন, নিজেই যদি করতে পারেন তবে কেন অন্য কাউকে অর্থ দিয়ে করিয়ে নিবেন? পৃথিবীর উন্নত দেশ সমূহে সকল কাজ ডিজিটাল হয়ে গেছে তাঁরা নিজেদের কাজ নিজেরাই করে থাকে, এখন বাংলাদেশেও জনগণের জন্য বিভিন্ন সরকারী দফতরের কাজ সমূহ অনলাইনেই করে নেয়া যাচ্ছে।