দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহামতি আলেকজান্ডার মাত্র ৩২ বছর বয়সে ১০ কিংবা ১১ই জুন খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ সালে ব্যবিলন শহরে তিনি মারা গিয়েছিলেন। সাম্প্রতিককালে একজন বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন আলেকজান্ডার দি গ্রেট মারা গিয়েছেন বিষাক্ত ওয়াইন পানে।
আলেকজান্ডার অব মেসিডন, যিনি সাধারনভাবে আলেকজান্ডার দি গ্রেট হিসেবে সুপরিচিত, ছিলেন একজন গ্রীক। তিনি মেসিডনের রাজা যা প্রাচীন গ্রীসের উত্তরদিকের একটি প্রদেশ। তিনি ছিলেন যুদ্ধের ময়দানে অপরাজিত বীর এবং তাকে বিবেচনা করা হয় ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম সেনাপতি হিসেবে।
১৬ বছর বয়স থেকে আলেকজান্ডার দি গ্রেট শিক্ষা গ্রহন করতেন মহামনীষী এরিস্টটল এর কাছে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাচীন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ সাম্রাজ্য যা কিনা বিস্তৃত ছিল গ্রীসের আইওনিয়া সাগর থেকে হিমালয় পর্যন্ত। যা মূলত প্রাচীন গ্রীস থেকে আধুনিক পাকিস্তান পর্যন্ত হিসেব করা হয়। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রায় ২০টির মতো শহর যা তার নাম কে ধারন করছে তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া। সে যাই হোক আমরা আগেই জেনেছি এই কিংবদন্তি বীর মারা গিয়েছিলেন মাত্র ৩২ বছর বয়সে খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ সালে।
কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন তিনি সাধারন স্বাভাবিক কারনেই মারা গিয়েছিলেন, এর বাইরে অন্যরা মনে করেন তাকে খুব গোপনীয়তার মাধ্যমে ভোজনোৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। মজার বিষয় হল যে প্রায় ২০০০ বছর পর অটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ লিও শেপ যিনি ন্যাশনাল পয়জন সেন্টার এর একজন টক্সিকোলজিস্ট দাবি করছেন যে, আলেকজান্ডার দি গ্রেট মারা গিয়েছেন বিষাক্ত ওয়াইন এর প্রভাবে যা তৈরি করা হয়েছিল দেখতে ক্ষতি করে না এমন একটি গাছ থেকে।
ডঃ শেপ যিনি প্রায় এক দশক ধরে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি বলেন অনেক ধরনের বিষক্রিয়ার মধ্যে আর্সেনিক এবং স্ট্রাইস্নিনকে এই জন্য সম্ভাব্য মনে হয়।
এদিকে ডঃ প্যাট হুইটলি যিনি ডঃ শেপ এর সহ লেখক উল্লেখ করেন যে আলেকজান্ডার দি গ্রেট এর উপর প্রয়োগকৃত বিষটির বিষয়ে বলেন এমন একটি গাছের বিষ যার নাম “ভেরেট্রাম এলবাম” যা মূলত সাদা গোলাপ জাতীয় একটি ফুল। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে সাদা ফুলের গাছকে প্রাচীন গ্রীসে গাজন প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত ওয়াইনে রুপান্তরিত করা হতো। যা গ্রীকদের কাছে বমির ভেষজ চিকিৎসা হিসেবে পরিচিত ছিল।
এটি সত্যি রহস্যাবৃত যে আলেকজান্ডার দি গ্রেট কি আসলেই বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছিলেন কিনা? ডঃ লিও শেপ এর ভাষায়, “আমরা তা কখনোই জানতে পারবো না”।
তথ্যসূত্রঃ দি টেক জার্নাল