দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই দ্বীপটি দেখে আপনার মনে হতে পারে এটি একটি আধুনিক চলচ্চিত্রের সেট কিংবা এটি একটি ইউরোপিয়ান অভিনব কোন কারাগার! আসলে এটি একটি স্টুডিও যা তৈরি করেছে সোয়ান্ডার আর্কিটেকচার।
এটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের নিকটে ফগো আইল্যান্ডে অবস্থিত। এই দ্বীপটি এমনিতেই শান্ত জায়গা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। ফগো আইল্যান্ডের স্টুডিওটি একইসাথে সুন্দর, পরিষ্কার, সতেজ আর আধুনিক।
দি লং স্টুডিও আধুনিক ডিজাইন আর রাজকীয়তার একটি পরিপূর্ণ সমন্বয়।
অধিকাংশ ডিজাইনারদের জন্য এখানে কাজ করা অথবা বাস করা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো।
যেকোনো ভাবেই হোক এই স্টুডিওটি দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে হরণ করেছে।
অল্প কিছু মানুষ এখানে বসবাস করে তাই কার্যত দ্বীপটি মানব বসতহীন।
লং স্টুডিওটি প্রাকৃতিক আলোতে পূর্ণ এবং এর সাদা রঙের জন্য এর ভেতরটা বাহির থেকে বেশি আলোকিত মনে হয়।
এর ভেতর প্রবেশ করলে আপনার মনেই হবে না আপনি কাজে আছেন কিংবা আপনি পৃথিবী নামক গ্রহে আছেন!
এটাকে বলা হয় “লং স্টুডিও” এটি শুধুমাত্র অবকাশ যাপনের লক্ষ্যে তৈরি হয় নি বরং এটি তার চারপাশের প্রাকৃতিক রূপকে ফুটিয়ে তুলেছেঃ
“স্টুডিওটি তৈরির মূল ধারনাটি করা হয়েছে ঋতু পরিবর্তনকে লক্ষ্য রেখে। স্টুডিওটি সংগঠিত করা হয়েছে রৈখিক ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্তরে। একটি খোলা কিন্তু ঢেকে রাখা জায়গা প্রদর্শন করছে ঋতু কার্যক্রমের শুরু বসন্ত ঋতুকে যা মূলত স্টুডিওর প্রধান ফটক। স্টুডিওর মধ্য অংশের বামপাশের অঞ্চলটি দেখাচ্ছে ফগো আইল্যান্ডের দীর্ঘকালীন গ্রীষ্ম। স্টুডিওটির শেষ এবং প্রধান অংশটি পুরোপুরি ঘেরাও করা বাইরের আবহাওয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য। নান্দনিক এই স্টুডিওটির লম্বা রৈখিক গঠন এর স্থানকে অনেক খোলামেলা করেছে। লম্বা জানালা আর আকাশের আলো আসা ছাদ প্রাকৃতিক আলোর বন্যা বইয়ে দিয়েছে স্টুডিওর ভেতরটা”।
স্টুডিওটির স্তম্ভগুলো স্থাপন করা হয়েছে শেষ মাথায় যেখানে সাগর শুরু হয়েছে, সেখানে একটি ছোট কংক্রিটের বুনিয়াদী প্রবেশপথ। যা দেখাচ্ছে পুরো ল্যান্ডস্কেপ গঠনশৈলী। এইধরনের নির্মাণশৈলী স্টুডিও গুলো স্থাপন করা যায় দ্বীপের যেকোনো জায়গায়।
ফগো আইল্যান্ডে অনেক ধরনের স্বাতন্ত্র্য স্টুডিও আছে কিন্তু আর যাই হোক আমি পছন্দ করি লং স্টুডিও। কারন এখানে আমি বাইরের প্রকৃতি অনুভব করি ভেতরে থেকে, আপনিও করবেন।
তথ্যসুত্রঃ কন্টেম্পরিস্ট