ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেট লাইনের সমস্যার কারণে গত এক মাস দেশের নেটওয়ার্ক ভিত্তিক কোম্পানিগুলো সমস্যার মধ্যে ছিল। সেই সমস্যা আপাতত থাকছে না বলে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।
জানা যায়, বিকল্প ব্যবস্থায় বাংলাদেশে এক মাস ১২ দিন ইন্টারনেট ব্যবহারের পর ১৮ জুলাই লাইন ঠিক হল সিঙ্গাপুরের বিচ্ছিন্ন সাবমেরিন ক্যাবলের। আর তাই গতকাল (১৮ জুলাই) কক্সবাজারে ল্যান্ডিং স্টেশনের রি-কনফিগারেশন কাজের জন্য রাত ১টা থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। আজ ১৯ জুলাই থেকে আগের গতিতেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে বলে এক খবরে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারা দেশের ইন্টারনেট গত ৬ জুন থেকে কচ্ছপগতিতে চলছিল। ৬ জুন সিঙ্গাপুর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের তলদেশে থাকা ফাইবার অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্কের তার কাটা পড়ে। এর ফলে ক্যাবলের মাধ্যমে শুধু ইউরোপপ্রান্ত দিয়ে ডাটা আদান-প্রদান চলছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল এই ধীরগতি স্বাভাবিক হতে তিন-চার দিন সময় লেগে যেতে পারে। পরের ঘোষণায় এক মাসের মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও গত এক মাস ১২ দিন বাংলাদেশে বিকল্প ব্যবস্থায় ১০ গিগাবাইট পার সেকেন্ড (জিবিপিএস) ব্যান্ডউইডথ কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছে। কাটা পড়া সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু ছিল। বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে দেশের ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল ১৬ দেশের সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম (জোট) সাউথ এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ ফোর (সি-মি-উই-ফোর) নামের সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ। তাই পুরো বাংলাদেশ ইন্টারনেটের জন্য শুধু একটি সাবমেরিন ক্যাবলের ওপর নির্ভরশীল। ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় তাদের তেমন কোন সমস্যা হয় না। উল্লেখ্য, সি-মি-ইউ ফোর ক্যাবলের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার। এর মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের প্রায় ১৩টি দেশের ১৫টি ল্যান্ডিং পয়েন্টে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ লাভ করছে বাংলাদেশ। বিকল্প না থাকায় লাইন বিচ্ছিন্ন হলে যোগাযোগ সমস্যায় পড়তে হয়। যার প্রভাব পড়েছে গত এক মাসে। দেশের নেট ভিত্তিক অফিসগুলোকে এর মাশুল গুনতে হয়েছে।