দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শহর কোবের পেডি একে মূল্যবান ধাতু উপলের রাজধানীও বলা হয়। এই শহরের অর্ধেকের বেশি মানুষ বসবাস করে মাটির নিচের ঘরে।
উপল (একধরনের দামী পাথর যাতে নানা রঙের খেলা দেখতে পাওয়া যায়) সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় কোবের পেডিতে। এখানে দীর্ঘদিন ধরে খনন করা হচ্ছে। খনন করতে করতে খননকারীরা এক সময় খনন করা মাটির গর্তেই নিজেদের থাকার জন্য ঘর তৈরি করে।
এসব ঘর দিনে দিনে উন্নত হতে হতে এখন আধুনিক আবাসস্থলে রূপ নিয়েছে। অনেক মানুষ নিজ নিজ পরিবার নিয়ে মাটির নিচের ঘরে বসবাস করেছেন।
এসব মানুষ মাটির নিচে বসবাসের ফাকে ফাকে খননকাজ ও চালিয়ে যাচ্ছেন। খনন করার ফলে পাচ্ছেন উপল এবং বাড়ছে তাদের ঘরের পরিধি!
এখানে মানুষ মাটির নিচের ঘরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এবং ভেতর থেকে গরম বাতাস বাইরে আনারও ব্যবস্থা করেছেন।
এখানে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, সেখানে আধুনিক সকল ব্যবস্থাও রয়েছে। তারা টিভি দেখা, কম্পিউটার চালানো সহ সকল তথ্য প্রযুক্তির সাথেই আছেন।
এখানে এখন আধুনিক হোটেলও গড়ে উঠেছে মাটির নিচেই! এসব হোটেলে গ্রাহকও পাওয়া যায় বেশ! অসংখ্য পর্যটক এই এলাকা ভ্রমণে আসেন। তারা এখানে তৈরি হওয়া মাটির নিচের হোটেলে অবস্থান করেন।
এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সাদরে আমন্ত্রণ জানান স্থানীয়রা। যদিও তাদের বাড়ি ব্যক্তিগত তবে কেউ যদি দেখতে চায় তবে তারা স্বাগতম জানান।
সত্যি মাটির নিচের এসব ঘর অসাধারণ। এখানে আধুনিকতা এবং প্রাচীনতা এক সাথে মিশে গেছে। এসব ঘর মরুভূমির উত্তপ্ত পরিবেশ থেকেও স্থানীয়দের দিনের বেলা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকতে সাহায্য করে।
সূত্রঃ Viralnova