দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুর্নীতির এবং সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের নিজের ফুফা’কে মৃত্যু দণ্ড দেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র প্রধান Kim Jong-un, এবার সেই ফুফার সকল রক্তের সম্পর্কে শেষ করে দিলেন Kim Jong-un!
Kim Jong-un এর ফুফা Chang Song-thaek বর্তমান উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। Kim Jong-un এর পিতার শাসন আমলে Chang Song-thaek ছিলেন রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন। ধারণা করা হচ্ছিল Kim Jong-un এর পিতার মৃত্যুর পরে ফুফা Chang Song-thaek রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।
কিন্তু Kim Jong-un ক্ষমতায় এসে Chang Song-thaek কে গ্রেফতার করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আনেন, শুরু হয় তাঁর বিচার। বিচারে Chang Song-thaek দোষী হলে তাঁর মৃত্যু কার্যকর হয়।
নির্দয় এবং কঠিন কোরিয়ান তরুণ শাসক Kim Jong-un কেবল ফুফাকে হত্যা করেই দমলেন না! এবার তিনি ফুফার পরিবারের সকল সদস্যকে নির্দয় ভাবে হত্যা করেন! রবিবার সারা বিশ্বের সকল বার্তা সংস্থার খবরে উঠে আসে Kim Jong-un এর এই হত্যাকাণ্ডের খবর। বিশ্ব মিডিয়া কোরিয়ান বিভিন্ন সংবাদের বরাত দিয়ে জানায় Kim Jong-un তাঁর ফুফার সকল পারিবারিক সদস্যকে হত্যা করেছেন। উত্তরাধিকার যেন না থাকে সেই উদ্দেশ্যে।
Chang Song-thaek এর পরিবারের সদস্যদের মাঝে যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা হচ্ছেন, থায়েকের বড় বোন ও তাঁর স্বামী, থায়েকের বোনের দুই সন্তান, থায়েকের ভাতিজা,এবং আরও দুই শিশু সন্তান। সংবাদ সূত্রে জানা যায় কেবল থায়েকের সাথে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের অন্য সকল সদস্যদের সামনেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন Kim Jong-un আসলে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই এই হত্যা চালাচ্ছেন এবং কঠোর হয়েছেন। তাঁর ধারণা তাঁর এই ফুফা তাঁর ক্ষমতা পাওয়া নিয়ে নাখোশ ছিলেন। এবং ফুফার মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে ফুফার পরিবারের সদস্যরা কিম এর বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছিল।
এধরণের পারিবারিক হত্যাকান্ড এটি প্রথম নয়। ঐতিহাসিক যুগ থেকে সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন রাজারা পারিবারিক হত্যা চালাত। ২০০০ সালে নেপালের রাজ পরিবার, এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন সরকার প্রধানের পরিবার হত্যার নজির তো আছেই। ইতিহাসে বিভিন্ন দেশে ক্ষমতার পথ মসৃণ করতে জনপ্রিয় নেতাদের স-পরিবারে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্রঃ নিউইয়র্কপোস্ট