দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যশোর শহরের বকচরের বিহারী ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের নিজের দুই তলা বাড়ির ছাদে ধান চাষ করে তৈরি করলেন ভিন্ন রকম নজির!
জনাব রফিকুল ইসলাম বোরো বিআর-২৮ জাতের ধানের চারা লাগান নিজের বাড়ির ছাদের রেলিং দিয়ে করা কৃত্রিম জমিতে। রফিকুলের লাগানো সেই ধানের চারা বড় হয়ে এখন সেখানে ফসল এসেছে। সম্পূর্ণ ছাদ এখন ধানে ছেয়ে গেছে। রফিকুল নিজের বাড়ির ছাদে মোট ৩ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছিলেন।
রফিকুল ইসলামের বাড়িটি মোট দুই তলার, রফিকুল নিজে থাকেন পরিবার নিয়ে দ্বিতীয় তলায়। নিচ তলা ভাড়া দেয়া আছে একটি কারখানাকে। রফিকুল নিজে একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি রফিকুলের বাগান করার শখ। এর আগে তিনি তাঁর ছাদে লাগিয়েছিলেন ফলের গাছ তবে সে সব গাছ ফলন ভালো দেয়নি। যে কারণে তিনি সেসব কেটে ফেলেন। তবে রফিকুল ইসলাম দমে যাননি তিনি সিদ্ধান্ত নেন আবার তিনি এখানে চাষ করবেন তবে এবার অন্য কোন ফসল। তিনি ধান চাষের সিদ্ধান্ত নেন।
রফিকুল ইসলাম তাঁর ছাদে চারপাশে উঁচু রেলিং তৈরি করেন এবং সেখানে নিচে প্লাস্টীক দিয়ে আবার প্লাস্টারিং করেন ২ ইঞ্চি পুরু করে। ফলে ঐ অংশে মাটি দেয়াতে বাড়ির কোন ক্ষতি হবেনা বলেই ধরা যায়। পরে তিনি সেখানে মাটি ফেলে তাতে সাঁর হিসেবে ঘরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন আবর্জনা ব্যবহার করেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিকে আমি যখন ধান চাষ শুরু করি আশেপাশের সবাই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের চোখে দেখেন তবে যখন এসব গাছ ধীরে ধীরে বড় হল এবং ফুল এল সবার ধারণা বদলাল। এখন তো আমার বাগানে ধান এসে গেছে। খুব শীগ্রই আমি ধান তুলবো। ফলন খুব ভালো হয়েছে।’
রফিকুল ইসলাম আশা করছেন তাঁর ছাদের ৩ শতক ধান ক্ষেত থেকে তিনি ২ মনের মত ধান পাবেন। রফিকুল ইসলাম বলেন ধানের পরিমাণ হিসেবে বিবেচনা করছেন না তিনি। তিনি একে শৌখিনতা এবং ভালোলাগার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করছেন।
আমাদের দেশে রয়েছে ভূমি সংকট দিন দিন গ্রামের চাষের জমি নষ্ট করে তৈরি করা হচ্ছে বাসের জন্য বাসস্থান। নগরায়ন দ্রুত বাড়ছে ফলে এক সময় এভাবে চলতে থাকলে আমরা খাদ্য সংকটে পড়ব। বিষয়টির কথা মাথায় রেখে যার যার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সবজি কিংবা ফসল চাষের পরিকল্পনা নিলে সেটা পরিবেশ বিপর্যয় এবং খাদ্য সংকটের মোকাবেলায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।