দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১০ ফেব্রুয়ারি নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় আছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ। মঞ্জুর হত্যা মামলা নিয়েই মূলত তার এই দুশ্চিন্তা।
১০ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় দেওয়া হবে। সে কারণে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের ঘুম হারাম। ১০ তারিখে কি হয় না হয় তা নিয়েই মূলত এই আশংকা।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র বলেছে, দলীয় বিষয় এমনকি উপজেলা নির্বাচন নিয়েও সাবেক এই রাষ্ট্রপতির এখন যেনো কোন মাথা ব্যাথা নেই। এখন তাঁর একটাই বিষয় আর তা হলো মঞ্জুর হত্যা মামলা থেকে নিষকৃতি পাওয়া।
এরশাদের সামপ্রতিক চলা-ফেরা ও বক্তব্য নিয়েও রয়েছে বেশ পার্থক্য। মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় ১০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হবে এমন ঘোষণার পরের দিনই এরশাদ এক বিবৃতি দিয়ে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে থেকে তিনি দেশের জন্য কাজ করতে চান। হঠাৎ করে এমন সরকারকে সহযোগিতা করার মনোভাবকে সবাই অন্য চোখেই দেখেছে। কারণ সকালে এক কথা আর বিকেলে আরেক কথা বলায় পারদর্শি সাবেক এই রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে এখন আর কেওই দাম দিতে চান না।
তবে মঞ্জুর হত্যা মামলা নিয়ে জাতীয় পার্টির এক সিনিয়র নেতা বলেছেন, ন্যায় বিচার হলে আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান বেকসুর খালাস পাবেন। কারণ তিনি মঞ্জুর হত্যায় জড়িত ছিলেন না। তাঁকে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
ঘটনা যায়ই ঘটুক ১০ তারিখের আগে এরশাদ কোন প্রকার মুখ খুলতে নারাজ এমনটাই শোনা গেছে দলীয় সূত্রে। তার মানে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা!