দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রসুন – অতি পরিচিতি এক নাম। চার হাজারের বেশি সময় ধরে রসুন শারীরিক সুস্থতার জন্য ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিসে প্রথম অলিম্পিকের সময়েও অ্যাথলেটরা, এমনকি গ্রীস এবং রোমের সৈন্যরা শক্তিবর্ধনের জন্য রসুন খেতেন। আসুন জেনে নিই এই মহা ঔষধি রসুনের বিভিন্ন গুণাগুণ সম্পর্কে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রসুন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। রসুনের গন্ধ সহ্য করা কঠিন হলেও এর ঔষুধি গুণের প্রতিদিনের খাদ্য-তালিকায় রসুন অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কেঃ
১) রক্তে কোলেস্টেরোল কমিয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিপদ কমায়, অ্যালঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে রক্তের কণিকা সুরক্ষিত রাখে।
২) উচ্চ রক্তচাপে রসুন খুবই উপকারী একথা গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এটি ধমনীর বাঁধা রিমুভ করে ফলে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আশংকা হ্রাস পায়।
৩) ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় জানা গেছে প্রতিদিন ২৫০০ মিলিগ্রাম রসুন ৯০ দিন গ্রহণ করলে ঠান্ডা জনিত ফ্লু শতকার ৬১ ভাগ কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রসুনের গুরুত্ব রয়েছে সেটা এই পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়।
৪) স্মৃতিভ্রষ্ট অর্থ্যাৎ অ্যালঝেইমার প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকা রয়েছে। ইহা প্রদাহ হ্রাস করে, ব্রেনের সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে, ব্রেনের ব্লক কমিয়ে স্মৃতিভ্রষ্ট রোগ সারাতে সাহায্য করে।
৫) কোলন, রেকটাল, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় , একইসাথে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
৬) ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তদের জন্য উপকারী মসলা রসুন। ব্লাড সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৭) সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে রসুন একাধারে ভাইরাসরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী পেনিসিলিনের মতো জীবাণুনাশক। ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার জন্য রসুন গ্রহণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
৮) শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধির জন্য দেহের বিভিন্ন উপাদানের উন্নয়ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এইক্ষেত্রে রসুন গ্রহণ করা প্রয়োজন। গবেষকরা সম্প্রতি যেসব ক্ষেত্রে রসুনের ভূমিকা লক্ষ্য করেছেন তা দেখে নিইঃ
- অনুচক্রিকার ধমনীতে প্রবাহঃ শতকরা ৩৪ – ৫৮ ভাগ বৃদ্ধি।
- অনুচক্রিকার ভরঃ শতকরা ১০ – ২৫ ভাগ বৃদ্ধি।
- এলডিএল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ শতকরা ৫ – ১২ ভাগ বৃদ্ধি।
- পুরো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ শতকরা ৬ – ৩১ ভাগ বৃদ্ধি।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ শতকরা ৬ – ৮ ভাগ বৃদ্ধি।
রসুনের মতো এমন মহৌষধ সম্পর্কে সচেতন থাকা সবার জরুরি। সুতরাং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দু-এক কোয়া রসুন রাখলে নিজের অজান্তে অনেক রোগ-ব্যধির হাত থেকে শরীরকে মুক্ত রাখা সম্ভব।
তথ্যসূত্রঃ নিউজসম্যাক্সহেলথ