দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সোমবার রাতে সুরমা নদীতে চলন্ত নৌকায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অর্ধ শতাধিক নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার রাতে সুরমা নদীতে ছাতক-দোয়ারা বাজার উপজেলার মধ্যবর্তী প্রতাপপুরে চলন্ত নৌকায় আগুনে পুড়ে মারা যান ১১ জন। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারী ছাড়া বাকি ১০ জনের চেহারা একেবারেই চেনার উপায় নেই।
আগুনে লাশগুলো এমনভাবে পুড়েছে, দেখে চেনার উপায় নেই। নৌকায় আগুন লাগার ১৫-১৬ ঘণ্টা পার হলেও গতকাল রাত পর্যন্ত স্বজনের খোঁজ মেলেনি। লাশগুলো দেখে হতবিহ্বল উপস্থিত সবাই। গতকাল মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের ছাতকের বেতুড়া গ্রামে উদ্ধার করা লাশগুলো স্বজন না পাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন শেষ পর্যন্ত তাদের তত্ত্বাবধানে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা রেখেই লাশ দাফন করা হয়েছে স্থানীয় একটি সরকারি গোরস্থানে। নিখোঁজ এক মহিলা যাত্রী পরিচয় পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত একজন হলেন নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার পাঁচ হাটা গ্রামের আবদুল হাসিমের স্ত্রী।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর নৌকাটি ডুবে যাওয়ায় নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী। সোমবার রাতে ও গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও এলাকাবাসী মিলে হতাহতদের উদ্ধার করেন। নিখোঁজ অন্যদের উদ্ধারের জন্য ঢাকা থেকে বি আইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী দল গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে রাতে তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে পারেনি। আজ বুধবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ থেকে যাত্রীরা গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে নৌকায় করে ফেরার সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রীর ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত।