দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবল স্থাপিত হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু এর খুব সামান্য অংশ ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশে। আর তাই বাংলাদেশে সরকার সাবমেরিন ক্যাবলের অব্যবহৃত অংশ থেকে ব্যান্ডউইথ বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যান্ডউইডথ বিক্রি থেকে আনুমানিক ৬০ কোটি টাকা আসবে বলে ধারণা করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দীক এই তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সাল পযন্ত যে পরিমাণ ব্যান্ডউইডথ দেশের প্রয়োজন হবে তা হাতে রেখেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪ এর সর্বোচ্চ ব্যান্ডউইথ ২০০ গিগাবাইট। এর মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ গিগাবাইট ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি অংশ থেকে ব্যান্ডউইথ বিক্রয় করবে সরকার। শুরুতে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সভায় বিক্রির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ভাড়া দিলে যে আয় হবে, বিক্রয় করলে তার তিনগুন বেশি আয় হবে। ২০২৫ সালে এই সাবমেরিন ক্যাবলের মেয়াদ শেষ হবে।
ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবল (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল) সংযুক্ত হওয়ার ফলে সি-মি-ইউ-৪ এর ব্যান্ডউইথের ব্যবহার কমে গেছে। আরেকটি সাবমেরিন ক্যাবল (সিএমডব্লিউ-৫) স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ হবে ২০১৬ সালে। এতে ব্যান্ডউইথ আরো বেড়ে যাবে। এটি থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত আরও ১৪০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। তখন দেশে বড় জোর আরো ১৬০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়বে।
বিসিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেনের বরাত থেকে জানা যায়, আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্যান্ডউইথ রফতানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইতালি ভারত, মায়ানমার এবং নেপাল ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে প্রস্তাব দিয়েছে।