দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ১৫ দিন আগেই পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গী এই গ্রুপটি। অপরদিকে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকার তথ্য। এই রাকিবুলই শায়খ আবদুর রহমানকে ধরিয়ে দিয়েছিল।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবির সূরা সদস্য রাকিব হাসান ওরফে রাসেলকে। পরে বিকেলে তাকে টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ছিনতাই পরিকল্পনা ১৫ দিন আগের
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যদের ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করা হয় প্রায় ১৫ দিন আগে। এ জন্য তারা ২টি নতুন মাইক্রোবাস কেনেন। আদালতে হাজিরার তারিখ অনুযায়ী আগেই পরিকল্পনা করা ছিল তাদের। গতকাল রবিবার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনতাইকালে ৩টি মাইক্রোবাস ব্যবহার করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজ মাহমুদ, রাকিব হাসান ও সহযোগী জঙ্গি জাকারিয়া এসব তথ্য দিয়েছেন।
রাকিব হাসানের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার বংশী বেলতলী গ্রামে। তার বাবার নাম সোবহান। তিনি ৩টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ ৩ মামলার একটি মৃত্যুদণ্ড, একটিতে যাবজ্জীবন ও অন্যটিতে ১৪ বছরের সাজা হয়েছে তার।
রাকিবই শায়খ আব্দুর রহমানকে ধরিয়ে দিয়েছিল
ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার এবং পরে টাঙ্গাইলের সখিপুরে গ্রেফতার হয় জেমএমবির জঙ্গি রাকিব হাসান ওরয়ে হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাসেল। এই রাকিবুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ীই সেদি শায়খ আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে বিচারিক প্রক্রিয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এই রাকিবুল হাসানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ২০০৬ সালে র্যাব ধরে ফেলে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমানকে। জেএমবির শীর্ষ ওই নেতা
শায়খ আবদুর রহমান আত্মগোপন করেছিলেন সিলেট শহরের একটি বাড়িতে। শায়খ আবদুর রহমান এতই সতর্ক ছিলেন যে কোনভাবেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একমাত্র রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ ধরা পড়ার পরই খুলে যায় সব জট। প্রায় ৩৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর ২০০৬ সালের ২ মার্চ এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আবদুর রহমানকে পাকড়াও করতে সমর্থ হয় র্যাব সদস্যরা। অনেকটা সিনেমা স্টাইলে সেদিন অপারেশন করা হয় সিলেটের ওই ‘সূর্য্যদীঘল বাড়ী’। লোমহর্ষক ও শ্বাসরুদ্ধকর ওই অভিযান সেদিন জাতি দেখেছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে।