দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংসারে স্বচ্ছলতা থাকলে আরেকটু ভালোভাবে আদরের সন্তানটাকে বড় করা যেতো। এমনটা ভাবেন অনেক বাবা-মা। কিন্তু সম্প্রতি মনোবিজ্ঞানীদের এক পরীক্ষা দেখা গেলো, অস্বচ্ছল পরিবারের বাবা-মা’দের থেকে ধনী পরিবারের বাবা-মা’রাই তুলনামূলক বেশি দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন।
পরীক্ষার ফলাফল থেকে মনোবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সন্তান লালল-পালন এবং অর্থ উপার্জনের মধ্যে বেশ সাংঘর্ষিক সম্পর্ক বিরাজমান। যেসব পরিবারের বাবা-মা অর্থ উপার্জন, এবং সামাজিক অবস্থানের ব্যাপারে বেশিমাত্রায় সচেতন এবং সেসব নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, তাদের কাছে সন্তান লালন-পালনের শারিরীক ও মানসিক দায়িত্ববোধ এবং পরিশ্রম তুলনামূলক কম গুরুত্ব বহন করে।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া আয়োজিত ‘ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক মনোবিজ্ঞান’ বিষয়ক বার্ষিক সম্মেলনে এই তথ্যগুলোই তুলে ধরেন বিজ্ঞানীরা। অর্থ-বৈভবের পেছনে ছুটতে গিয়ে সন্তানদের সঙ্গে বন্ধন আলগা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা বাবাদের তুলনায় মায়েদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
অর্থাৎ অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলো যদি সন্তানদের প্রতি মায়েদের মনোযোগে ভাগ বসায়, তাহলে তা সন্তানদের আরো বেশি দুর্দশা বয়ে আনে। গবেষকদলের প্রধান কস্টাডিন কুস্টিলভ বলেন, ‘পিতৃত্ব-মাতৃত্ব এবং অর্থ উপার্জনের মধ্যকার সম্পর্ক সব বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে একরকম নয়।’ কস্টাডিন আরো বলেন, ‘গবেষণা এটাই বলে যে, অর্থ পুরুষদের থেকে নারীদের মনোযোগ বেশি কেড়ে নিতে পারে।’
একই সঙ্গে কর্মস্থল এবং পারিবারিক দায়িত্ব সামলানো বাবা-মায়েদের জন্য পরামর্শ দিয়ে কস্টাডিন বলেন, ‘কর্মস্থল এবং পরিবারকে যতটা সম্ভব পরস্পরের থেকে দূরে রাখুন। যখন বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান, তখন অর্থ উপার্জন সংক্রান্ত কোনো কাজ বা ভাবনা যেনো আপনার মনোযোগে সক্রিয় না থাকে। জীবনের বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী লক্ষ্যগুলোকে আমরা যতই একটি অন্যটি থেকে দূরে রাখবো, জীবন ততোই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
তথ্যসূত্রঃ দিডেইলিমেইল