দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কি জানেন? আপনার নবজাতক শিশুর জন্য ক্রয় করা নতুন পোশাকটি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, যদিও এটি দেখতে সম্পূর্ণ পরিষ্কার! অনেকেই হয়তো এটি জানেন না প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কাপড়ের গুনগত মান ধরে রাখার জন্য এতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত করেন।
কাপড়ের সাথে থাকা এই বিষাক্ত পদার্থগুলো আপনার নবজাতক শিশুর ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে। এই কারণে নবজাতকের জন্য ক্রয়কৃত পোশাক ব্যবহারের পূর্বে ধুয়ে নেওয়া উচিত। এতে করে শিশুর ত্বক আরামদায়ক ও ফুসকুড়ি মুক্ত থাকবে। এখানে কয়েকটি ধাপ তুলে ধরা হল কিভাবে আপনার নবজাতক শিশুর পোশাকটি রাসায়নিক মুক্ত করবেন?
১. রঙের তারতম্য অনুযায়ী পোশাকগুলো আলাদা করুন
ঘন রঙ করা পোশাকগুলো এবং সাদা রঙ করা পোশাকগুলো আলাদা আলাদা স্তরে বিভক্ত করুন। আলাদা করার কারণ পোশাকগুলো একসাথে রাখার ফলে একটির রাসায়নিক পদার্থ অন্যটিতে মিশ্রিত হতে পারে।
২. প্রতিটি স্তরের পোশাকগুলো আলাদা আলাদা ভাবে পরিষ্কার করুন
এমন ধরনের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন যা শিশুর ত্বকের জন্য উপযোগী। সাধারন ডিটারজেন্ট গুলোতে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কিছু উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন যা শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। নবজাতক শিশুর পায়জামা বিশেষভাবে পরিষ্কার করুন কারণ তারা ঘুমানোর পোশাকগুলো বেশি সময় পরিধেয় থাকে।
৩. অবশ্যই পোশাকগুলো দুইবার করে ধুতে হবে
দ্বিতীয়বার ধোয়ার ফলে পোশাকের রাসায়নিক পদার্থ, রঙিন ডাই এবং অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ধুয়ে যায়। ফলে শিশুর শরীরে আরামদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি করবে।
৪. ধোয়ার পরে পোশাকগুলো শুকিয়ে ফেলুন
রোদে ঝুলিয়ে কিংবা ড্রাইয়ার দিয়ে পোশাকগুলো পুরোপুরি শুকিয়ে নিন। অর্ধশুকনো পোশাকে ছত্রাক আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫. পোশাকে কুঞ্চিতভাব দূর করুন
শুকানোর পর পোশাকগুলো ভালোভাবে ভাঁজ করুন। শুকনো বালিমুক্ত পরিষ্কার স্থানে পোশাকগুলো সংরক্ষণ করুন।
নবজাতকের সুস্থতার জন্য আপনাকে যে দিকগুলোতে সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে তারমধ্যে পোশাকটি অন্যতম। কারণ এটির সাথে নবজাতকের ত্বকের স্বাস্থ্য জড়িত। ফলে নবজাতকের পোশাকটি অবশ্যই রাসায়নিকমুক্ত রাখতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ উইকিহাউ