দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কুয়েত থেকে ১৪ লাখ বিদেশীকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে সে দেশের এমপি ড. খলিল আবদুল্লাহ, এ প্রক্রিয়া ৫ বছর ধরে চলবে। এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার করে বিদেশী শ্রমিক নিজ নিজ দেশে ফেরত আসবেন।
সম্প্রতি কুয়েত নিজেদের দেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কুয়েতে বর্তমান জনসংখ্যার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কুয়েতের নাগরিক। বিশাল সংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক কুয়েতে অবস্থান করছে কাজের তাগিদে। এসব শ্রমিককে পর্যায় ক্রমে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
সর্বশেষ জানুয়ারির এক জরিপে দেখাগেছে সরকারি হিসাব অনুসারে কুয়েতের মোট জনসংখ্যা ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ২২ জন। কুয়েতের মোট জনসংখ্যার মাঝে প্রায় ২৫ লাখ বিদেশী রয়েছেন। আবার এর মাঝে শতকরা ৩৭ দশমিক ৮০ ভাগ এশিয়ান যাদের মাঝে আবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছেন বাংলাদেশি।
কুয়েতের এমপি ড. খলিল আবদুল্লাহ বলেন, ‘সম্প্রতি কুয়েতের জনসংখ্যায় বিরাট এক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে, আমরা এই ভারসাম্যহীনতা কমিয়ে আনতে চাই। আর এটি ঠিক করতে ২ লাখ ৮০ হাজার করে পাঁচ বছর বিদেশীদের বহিষ্কার করতে হবে।’
কুয়েত যদি এই পদক্ষেপ নেয় তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশিদের। কারণ কুয়েতের এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছেন বাংলাদেশীরা। কুয়েত যদি তাদের ২৫ লাখ বিদেশী থেকে ১৪ লাখ বিদেশী ফেরত পাঠায় তাহলে সেখানে অবস্থান করতে পারবেন বাকি ১১ লাখ বিদেশী।
কেবল মাত্র অভিজ্ঞ বিদেশিরাই অবস্থান করতে পারবেন কুয়েতে। এক্ষেত্রে এমপির প্রস্তাব অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক বিদেশী বর্তমানে কুয়েতে থাকাতে সেখানকার নাগরিকরা বেকার হয়ে পড়ছেন। বিদেশীদের দেশে ফেরত পাঠালে অন্যান্য বিদেশী এবং স্থানীয়রা কাজের সমান সুযোগ পাবেন।
এর আগেও এরকম একটি বিল নিয়ে আসেন কুয়েতের আরেক এমপি আবদুল্লাহ এল তামিমি তার প্রস্তাবেও ১৩ লাখের মত বিদেশিকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয় ছিল।
সূত্রঃ Gulfnews