দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কাছে আধুনিক প্রযুক্তির সাবমেরিন বিক্রি করবে চীন। ইতোমধ্যে চীন দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের সাথে চুক্তিও সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। ঠিক একই সময় ভারত রয়েছে তীব্র সাবমেরিন-সংকটে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশের সাথে চীন সরকার দুটি মাঝারি পাল্লার মিনি সবমেরিন বিক্রির চুক্তি সম্পূর্ণ করেছে। চীন এবং বাংলাদেশের মাঝে সবমেরিন বাণিজ্য চুক্তিটি প্রায় ২০৬ মিলিয়ন ডলারের। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর জন্য ২০১৯ সালের মধ্যে দুই ধরনের ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন সর্বরাহ করবে চীন।
এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারির দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে উন্নতমানের সাবমেরিন নৌ-বহরে সংযুক্ত করা হবে। তবে সে সময় কোন ধারন দেয়া হয়নি বাংলাদেশ আসলে কোন দেশ থেকে এসব সাবমেরিন কিনতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭ নাবিক সাবমেরিন চালনায় প্রশিক্ষণ নিতে চিনে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। এবং চট্রগ্রাম কুতুবদিয়া সৈকতের কাছেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সম্ভাব্য সাবমেরিন ঘাটির জন্য আলাদা জমি ক্রয় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ চীন থেকে যে সাবমেরিন আমদানি করছে তা হচ্ছে ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন। এ ধরণের
সাবমেরিন প্রথম তৈরি করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সমুদ্র সীমা রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সাবমেরিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অপরদিকে ২০১৪ সালে চীন, আরেক দক্ষিণ এশিয় দেশ পাকিস্তানের কাছে ছয়টি সাবমেরিন বিক্রি করার চুক্তি সম্পন্ন করেছে। একই সাথে পাকিস্তান চীন থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ক্রয় করছে।
এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এমন সময় চিনের সাথে সাবমেরিন ক্রয় চুক্তি করল ঠিক যখন দক্ষিণ এশিয়ার আরেক প্রতিবেশী দেশ ভারত দারুন ভাবে সাবমেরিন সংকটে আছে।
সূত্রঃ Thediplomat, Timesofindia