দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এইডস একইসাথে মরণব্যাধি এবং সংক্রামক রোগ। সারা বিশ্বেই আজ এই রোগের ছড়াছড়ি। এই ভয়াবহ রোগটির নিরাময়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি বানরদের এইডস নিরাময়ে একটি ইঞ্জেকশন সফল হওয়ায় মানুষের দেহে এই রোগ ধ্বংসের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতি মাসে বানবদের দেহে একটি এইডস প্রতিষেধক ড্রাগসের ইঞ্জেকশন পুশ করার পর দুইটি পরীক্ষাগারের গবেষকরা এইডস প্রতিরোধে ১০০ ভাগ সফলতা পেয়েছেন। যদি এই ইঞ্জেকশন মানবদেহের জন্য রুপান্তরিত করা যায় তাহলে বিশেষ করে যারা এইডসের ডোজ প্রতিনিয়ত গ্রহণ না করে তাদের মধ্যে নিশ্চিত এই মরণব্যাধি প্রতিরোধ সম্ভব হবে। এইডস বিশেষজ্ঞ ডঃ ওয়াফা এল সাদর জানিয়েছেন এ বছরের শেষের দিকে মানুষের উপর প্রাথমিক পরীক্ষা এবং কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তর পরীক্ষা শুরু করা হবে।
২০১০ সাল দিকেই এইটা প্রমাণিত যে যারা প্রতিদিন এইডস প্রতিষেধক ড্রাগ গ্রহণ করেন তাদের এইডস নিরাময়ের সফলতা ৯০ ভাগ বেশি থাকে।তবে কিছু মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে সমকামী কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থান করে এদের মধ্যে যারা নিয়মিত প্রতিষেধক পিল গ্রহণ করে তারা এইডস থেকে মুক্ত ছিলেন কিন্তু অন্যরা আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকাতে নারীদের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার হার প্রচুর বেশি।
কয়েকটি পরীক্ষায় বানরদের দেহে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন প্রবেশ করানো হয় এবং একইসাথে এদের সাথে আক্রান্ত বানরের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। প্রতিক্ষেত্রেই এরা এইডস আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এইডস বিশেষজ্ঞ ডঃ ওয়াফা এল সাদর জানিয়েছেন মানুষের উপর এই ইঞ্জেকশন প্রয়োগ কয়েক বছরের মধ্যেই শুরু হবে। বানরদের মধ্যে ইঞ্জেকশন যেমন শতভাগ ফলপ্রসূ হয়েছে, মানুষের দেহে সেরকম কার্যকারিতা দেখাতে সক্ষম কিনা সেটা নিশ্চিত করণ গবেষণা শেষ হতে তিন বছর লেগে যাবে। প্রাথমিক পরীক্ষাটি আমেরিকা, সাউথ আফিক্রা, মালয় এবং ব্রাজিলের মোট ১৭৫ জন মানুষের মধ্যে করা হবে। অধিকাংশ মানুষদের মধ্যে এইডস প্রতিরোধের জন্য কন্ডম এবং প্রতিষেধক ড্রাগ না পৌছিয়েই প্রচুর মানুষের মধ্যে এই ব্যয়বহুল পরীক্ষা করা বেআইনি হবে। একইসাথে অনেকেই আছেন যারা ওষুধ গ্রহণে আগ্রহী থাকলেও পরবর্তীতে সেটা গ্রহণ চালিয়ে যান না কিন্তু তাদের কথাও ভাবতে হয়।
যতই জটিলতা এবং ঝামেলা থাকুক না কেন এইটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে কয়েক বছরের মধ্যেই এইডস রোগ নির্মূল সম্ভব হয়ে যাবে এবং মানবকল্যানের স্বার্থে এই পরীক্ষার সফলতা একান্ত প্রয়োজন।
তথ্যসূত্রঃ এনওয়াইটাইমস