দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জামায়াতে ইসলামীর হঠাৎ ঠাণ্ডা ভাব দেখে অনেকেই চিন্তিত। কারণ গত এক বছর দেশজুড়ে চলা সহিংস সৃষ্টি করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই যেনো একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেছে জামায়াতে ইসলামী।
অবশ্য অনেকেই এটিকে ‘রাজনৈতিক কৌশল’ হিসেবেই দেখছেন। তবে এই বিষয়টিকে অনেকেই আবার অন্যভাবে নিচ্ছেন। অনেকেই মনে করছেন, জামায়াত ভেতরে ভেতরে কোন ‘ফন্দি ফিকির’ আটছেন। তাই সরকারকে এ বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। অনেকেই বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী হয়তো বড় কোন মিশনের পরিকল্পনা করছেন। আর তাই তারা এখন একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে আছেন। অবস্থা বুঝে তারা মাঠে নামবেন।
তবে সবকিছুর পেছনে যে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য রয়েছে তা বোঝা যায়। তবে সরকারি দল আওয়ামীলীগও জামায়াত প্রসঙ্গে এখন একেবারে নিশ্চুপ। হঠাৎ আওয়ামীলীগের এমন নীরবতাকেও অনেকেই ‘রাজনৈতিক কৌশল’ বলে মনে করছে। যুদ্ধাপরাধ বিষয়টিও এই মুহূর্তে একেবারে থেমে গেছে। বিচার প্রক্রিয়া শ্লথ গতির কারণে অবশ্য এমনটি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে পরবর্তীতে চলাফেরা ও আচার আচরণ দেখে।
জামায়াতের নীরবতার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় নিজামীর অস্ত্রমামলায় ফাঁসির পর। আগের মামলাগুলোতে ফাঁসি হলে তাৎক্ষণিক যেমন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নিজামীর মামলার পর তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। হরতাল করেছে তাও কয়েকদিন পর। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে দায়সারা গোছের কর্মসূচির মতো।
জামায়াতে ইসলামীর এমন পরিস্থিতির কারণ হিসেবে অবশ্যই অনেকেই বলছেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে এমনটা হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। কারণ আগে আন্তর্জাতিক মহল যেভাবে জামায়াতকে সমর্থন দিচ্ছিলেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তা অনেকটা পাল্টে গেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এমনকি বিএনপিকে পর্যন্ত চাপ দিচ্ছে জামায়াতের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসার জন্য। সে কারণেই মনে হয় জামায়াতে ইসলামী একটু ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে পরিস্থিতি যায়ই হোক মানুষ শান্তিতে বসবাসের পক্ষপাতি। হরতাল-ধর্মঘট আর অচলাবস্থার মধে কেও দিন কাটাতে পছন্দ করে না। জামায়াতে ইসলামী যে কারণেই হোক না কেনো আপাতত তারা নিশ্চুপ রয়েছেন এটিতেই জনগণ খুশি।