দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি বিশ্বে যাদের হাত ধরে আজ এই পরিবর্তন তাদের অফিস কক্ষ সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবার। সেই আগ্রহ মেটানোর জন্যই আজকের এই আয়োজন। দেখুন প্রযুক্তি বিশ্বের সেরা ১০ জন প্রধান নির্বাহীর অফিস কক্ষ।
মার্ক জাকারবার্গ, ফেসবুক
সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। তিনিই বর্তমানে এর সিইও অর্থাৎ প্রধান নির্বাহী। ২০০৪ সালে হার্ভার্ডে পড়ার সময় বন্ধুদের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুক। যাত্রা শুরুর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত এর সম্পদের পরিমাণ ১৭.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্টিভ জবস, অ্যাপল
১৯৭৬ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। তাকে বলা হয় পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের প্রবর্তক। বর্তমানে এর সম্পদ মূল্য ২০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। এছাড়াও তিনি পিক্সার এ্যানিমেশন স্টুডিওস-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।
স্টিভ বালমার, মাইক্রোসফট
মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী ছিলেন স্টিভ বালমার। ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৫৭ বছর বয়সী এই বছর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারীর ৪ তারিখ মাইক্রোসফট থেকে অবসর নেন। স্টিভ বালমারকে প্রথমে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার বেতনের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং সেই সাথে কোম্পানির মালিকানার কিছু অংশও দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে যখন মাইক্রোসফট ইনকর্পোরেটেড হয় তখন স্টিভ বালমারের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৮% ।
জেফ বেজোস, আমাজন
জেফ বেজোস প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপিং এর এই প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে ১৯৯৪ সালে। বর্তমানে এর সম্পদমূল্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জেফ বেজোস এর সিইও হিসেবে কর্মরত। আমাজন ডট কম শুরুতে শুধু অনলাইনে বই বিক্রি করলেও এখন এ সাইট থেকে ডিভিডি, এমপিথ্রি, সিডি, কম্পিউটার সফটওয়্যার, ভিডিও গেইম, ইলেকট্রনিক পণ্য, ফার্নিচার, খাবার, খেলনাসহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই কেনা যায়।
বিল গেটস, মাইক্রোসফট
বিল গেটসের হাত ধরে ১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানী। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে এর প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন বিল গেটস। বর্তমানে তিনি এর উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি একাধারে ১৩ বছর যাবৎ পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ছিলেন। বিল গেটস সিয়াটল, ওয়াশিংটনে উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ডেনিস ক্রোলি, ফোরস্কয়ার
ডেনিস ক্রোলি প্রতিষ্ঠিত এই অন্যরকম সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং অপেক্ষাকৃত নবীন। কিন্তু ইতিমধ্যে বেশ নাম কুড়িয়েছে। এটি মূলত রেস্টুরেন্ট, শপিংমল সম্পর্কিত। ডেনিস ক্রোলি এর প্রধান নির্বাহী। এটি মূলত অ্যাপভিত্তিক ব্যবহার করা হয়। ২০০৭ সালে এর যাত্রা শুরু হয়।
ম্যাক্স লেভছিন, পেপাল
অনলাইন অর্থ বিনিময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো পেপাল। অনলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। ম্যাক্স লেভছিন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। পেপালের অন্য পরিচয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের মধ্যে জনপ্রিয় ফেসবুক, টুইটারে এর বিনিয়োগ রয়েছে। ভেঞ্ছার ক্যাপিটাল হিসেবে পেপাল অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
ডিক কোস্টল, টুইটার
ডিক কোস্টল টুইটার এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বর্তমানে এর সিইও। ২১ মার্চ ২০০৬ যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সোশ্যাল ব্লগ। সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইক্রোব্লগিংয়ের একটি ওয়েবসাইট, যেখানে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের বার্তা আদান-প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন।
মাইকেল ডেল, ডেল
ডেল কম্পিউটারের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেল। তিনি বর্তমানে এর প্রধান নির্বাহী। ছোটবেলায় জমানো ১ হাজার ডলার মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। ১৯৮৪-এ কম্পিউটার উৎপাদনের লাইসেন্স গ্রহণ করে তিনি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন নিজের প্রতিষ্ঠানে। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার।
ল্যারি পেইজ, গুগল
প্রযুক্তি দুনিয়ার চেহারা যাদের হাত ধরে একেবারেই অবিশ্বাস্য পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে প্রথম অবস্থানে থাকবে গুগল। গুগলের মোট সম্পদমূল্য ১১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সার্গেই ব্রিন আর ল্যারি পেইজের হাত ধরে ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে গুগল। প্রতিষ্ঠাকালীন এর সিইও ছিলেন ল্যারি পেইজ। ২০শে জানুয়ারি, ২০১১ সালে তাকে গুগলের প্রধান নির্বাহী ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তিনি ৪ঠা এপ্রিল, ২০১১ থেকে দায়িত্ব পালন করেন। ল্যারি ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলে সম্মানসহ ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
এই হলো আমাদের আজকের আয়োজন। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির আরো মজার মজার তথ্য আপনাদের সামনে পরিবেশন করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
তথ্যসূত্রঃ কমপ্লেক্সটেক