দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আফ্রিকার তানজানিয়ায় সাফারী পার্কে একজন অস্ট্রেলীয় ফটোগ্রাফার একটি চিতার মুখোমুখি হয়ে পড়েন। বন্য প্রানী আলোকচিত্রীদের ক্ষেত্রে এটি বেশ কৌতূহলী একটি বিষয়। অস্ট্রেলীয় ফটোগ্রাফার কৌতূহলী সেই চিতার অনেকগুলো ছবি তুলেন।
অস্ট্রেলীয় ফটোগ্রাফার ববি ক্লো বলেন চিতাটি ছিল তরুণ তাই তার কৌতুহল ছিল বেশি। কৌতুহলের বশেই সে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যান্ড রোভারের দিকে এগিয়ে আসে। চিতারা সিংহ কিংবা বাঘের মতো গর্জন করতে পারে না। চিতাটি তার মুখ সামনে এনে গাড়ির ছাদ থেকে সবাইকে শুকে দেখছিল। আর ফটোগ্রাফাররা তখনি তার চমৎকার কিছু ছবি তুলে নেয়।
উৎসুক চিতাটি অস্ট্রেলীয় ফটোগ্রাফারদের গাড়ির দিকে এগিয়ে এসে তার পরিবেশে নতুন এই মানুষদের দেখে কিছুটা অবাক হয়। অস্ট্রেলীয় এই ফটোগ্রাফাররা বন্যপ্রানী ফটোগ্রাফির জন্যই মূলত তানজানিয়ায় আসে। চিতার এই কৌতুহলী এগিয়ে আসায় তাদের জন্য বাড়তি সুযোগ করে দেয়। চিতার ক্ষেত্রে একটি মজার তথ্য হলো শিকার ধরার ক্ষেত্রে বনের অন্য সব প্রানীর চেয়ে এগিয়ে।
ববি ক্লো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন, “আপনি যদি বন্য প্রানী পছন্দ নাও করে থাকেন তবুও এই তরুণ চিতার কৌতুহলটি আপনাকে মুগ্ধ করবে”। চিতাবাঘটির আবাসস্থল নিকটেই ছিল। সে যখন ল্যান্ড রোভার গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো, সে অবাক হলো। গাড়িগুলোর কাছে এগিয়ে আসলো, তারপর গাড়ির ছাদে উঠে বুঝতে চেষ্টা করলো। অস্ট্রেলীয় ফটোগ্রাফাররা গাড়িতেই ছিলেন ফলে কেউ কোন দুর্ঘটনার মুখে পড়েননি।
চিতা বিড়ালের মতো ঘড়ঘড় আওয়াজ করে থাকে। চিতা সাধারনত দৈর্ঘ্যে ৪ ফিট এবং উচ্চতায় ৩ ফিট এর মত হয়। এর লম্বা লেজটি দ্রুত দৌড়ানোর সময় গতি নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। এর দেহের আকৃতি অ্যারোডায়নামিক। অর্থাৎ দৌড়ের সময় এটিকে খুব একটা বাতাসের বাধায় পড়তে হয় না। চিতার চোখগুলোও একটু চওড়া হয় যাতে এটি দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর সময় চারপাশের দৃশ্যপট এটির দৃষ্টিসীমায় থাকে।
চিতা হল বিড়াল প্রজাতির বড় আকৃতির প্রানী। চিতা ও জাগুয়ারে গায়ে ছোট ছোট ছাপওয়ালা দাগ থাকে। তবে চিতা জাগুয়ারের থেকে আকারে বেশ ছোট হয়ে থাকে। চিতা দক্ষিণ আফ্রিকাসহ, ভারত, শ্রীলঙ্কার বনে দেখতে পাওয়া যায়। চিতা পৃথিবীর দ্রুততম স্থল প্রাণী। এরা ঘন্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার এর বেশি বেগে দৌড়াতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ ভাইরালনোভা