দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একজন মানুষ সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘুমায় বিশ্রাম নিতে। তবে এক্ষেত্রে আপনার ঘুমের মাঝে নিজের অজান্তেই শ্বাসতন্ত্রে শ্বাস গ্রহণে বাঁধা পড়ার কারণে আপনার গলা দিয়ে একটা গোঙানি মতো শব্দ বের হয়, এর ফলাফল হতে পারে মৃত্যু!
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে কমতে ৬০% এর নিচে নামলেই ঘুমের মধ্যে মানুষের মৃত্যু হতে পারে৷ সাধারণত আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা ঘুমের মাঝে নাক ডাকেন। আর এই নাক ডাকার কারনেই মানুষের শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং নাক ডাকার পরিণাম হিসেবে ঘুমের মাঝেই ঘটতে পারে মৃত্যু।
ঘুমের মাঝে কেবল নাক ডাকার কারণে মৃত্যুর ঘটনা সারা বিশ্বে অহরহ হয়েছে এবং হচ্ছে। সম্প্রতি ডেইলি মেইল তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নাক ডাকার কারণে একজন মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন। সাধারণত আমাদের নাকের ছিদ্রের মাঝে দিয়ে আমাদের শ্বাসতন্ত্রে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশ করে এবং তা আবার বাইরে বেরিয়ে আসে। কোনো কারণে যদি এই পথে বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়, তবে সেখানে শব্দ হয়। সাধারণত নাকে বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে নাকের মাংসপেশী বেড়ে গেলে কিংবা আলজিভ যদি নাক-গলার সন্ধিস্থলকে ঢেকে দেয়৷ আপনার গলায় যদি অতিরিক্ত চর্বি জমে যায় সেক্ষেত্রেও আপনার নাক ডাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া যেসব মানুষ ধূমপান করে থাকেন কিংবা মদ্যপান করেন তাদের ক্ষেত্রে নাক ডাকার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে।
এটা সাধারণভাবেই অনুমেয় যে, নাক থেকে শ্বাসতন্ত্রে বাতাস চলাচলে বাঁধা পেলে আমাদের শ্বাসতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে না। আর শ্বাসতন্ত্র যদি স্বাভাবিকভাবে কাজ না করে তবে আমরা দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো। এই ঝুকি জেগে থাকা একজন মানুষ থেকে ঘুমন্ত মানুষের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। ঘুমের মাঝে নাক ডাকার কারণে নিরবে একজন মানুষের মৃত্যু হয়ে যেতে পারে।
অতএব, এখনি সময় থাকতে নাক ডাকা প্রতিহত করতে কিংবা নাক ডাকার অভ্যাস ত্যাগ করতে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি, আপনার জীবন আপনার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান। সময় থাকতেই সচেতন হওয়া জরুরি, সুস্থ থাকুন।
সূত্রঃ দিডেইলি মেইল