দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয়ান নিখোঁজ বিমানের এখনও কোন খোঁজ মেলেনি। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত কিংবা বিস্ফোরিত হয়নি সেটি নিশ্চিত করলেন সিটিবিটিওর শব্দ বিজ্ঞানীরা।
বিভিন্ন রকম গুঞ্জন শোনা গেলেও এখনও কোন হদিস মেলেনি মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির। কোথায় এবং কি অবস্থায় আছে তা নিয়ে নানা কথা শোনা গেলেও সঠিক কোন তথ্য উপাত্ত হাতে আসেনি। অনেকেই মনে করছিলেন, বিমানটি হয়তো পানিতে কিংবা স্থলে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু সকলের সেই ধারণাটি এবার মিথ্যা প্রমাণিত করলো সিটিবিটিও।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাভিত্তিক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু অস্ত্র বিস্তাররোধ সংস্থা (সিটিবিটিও) তাদের এক তথ্যে জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি কোথাও বিস্ফোরিত কিংবা বিধ্বস্তও হয়নি। সিটিবিটিও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যে কারণে ধারণা করা যাচ্ছে, বিমানটি কোথাও লুকিয়ে আছে। আল জাজিরাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের একজন মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, নিখোঁজ বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হলে বা বিধ্বস্ত হলে সেটা সিটিবিটিও অবশ্যই জানতে পারবে। কারণ এক্ষেত্রে যে চারটি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে তারমধ্যে ৩টি প্রযুক্তিই সিটিবিটিও’র আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা (আইএমএস) ব্যবহার করে থাকে। এতে বলা হয়, সংস্থাটি ক্ষুদ্র পরমাণুর বিস্ফোরণও ধরতে সক্ষম। আর বড় একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে সেটি নিশ্চিত ধরা পড়বেই।
সংস্থাটির নির্বাহী সচিব বলেছেন, এই সংস্থার এমন নেটওয়ার্ক রয়েছে যার দ্বারা সমগ্র পৃথিবীতে কোনো পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটলে কিংবা ভূমিকম্প হলেও তারা নিশ্চিতভাবে জানতে পারবেন। এজন্য ‘ইনফ্রাসাউন্ড’ কিংবা ‘ইনফ্রাসোনিক’ নামের ২টি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ইনফ্রাসাউন্ড হচ্ছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রযুক্তি। সিটিবিটিও’র আন্তর্জাতিক তথ্য কেন্দ্রকে (আইডিসি) তিনি বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো তথ্য আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে বলেছিলেন। ইনফ্রাসাউন্ড প্রকৃতির এবং মনুষ্যসৃষ্ট সব বিস্ফোরণের তথ্যই জানতে পারে। মনুষ্যসৃষ্ট বিস্ফোরণের মধ্যে রয়েছে- রাসায়নিক বিস্ফোরণ, বিমান কিংবা রকেট বিস্ফোরণ। যদি বিমানটি সত্যিই বিস্ফোরিত কিংবা বিধ্বস্ত হতো তাহলে সেটি তারা অবশ্যই জানতে পারতেন। শুধু তাই নয়, আইডিসি প্রত্যাহ বাণিজ্যিক যে কোনো বিমানের ওঠা-নামার তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ২০০৯ সালে জাপানের একটি বিমান নারিতা বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হলে আইডিসি সেটা জানতে পারে।