দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাসি মানুষের এতোটা উপকার করতে পারে তা আগে কখনও চিন্তা করা যায়নি। গবেষকরা বলেছেন, ক্যান্সার, টিউমারসহ বহু কঠিন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে হাসি। তাই গবেষকরা বেশি করে হাসতে বলেছেন।
কথায় বলে, হাসি সর্বোত্তম ওষুধ। আর এই বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন একদল গবেষক। তারা দেখেছেন, স্বশব্দে হাসলে শরীর ও মনে প্রশান্তি আসে।
উচ্চ শব্দে হাসির কারণে মস্তিষ্কে নানা রকম উদ্দীপণা সৃষ্টি হয়। মিউনিখের এসোসিয়েশন অব জার্মান লাফটার থ্যারাপিস্টের প্রধান মিশেল শেফনার জানান এ তথ্য। এটি ২০০৭ সালের গবেষণার একটি তথ্য।
বার্লিনের ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান বায়োলজি এন্ড এ্যাথ্রোপলজির পরিচালক কার্লস্টেন নিয়েমেটস বলেন, হাসলে মুখ ও শ্বাস প্রশাসের সঙ্গে যুক্ত প্রায় একশ’রও বেশি মাংস পেশি সঞ্চালন হয়। তিনি আরও বলেন, হাসির জন্য পুরো শরীর কাজ করে। এতে মাথা নড়ে, শরীর বাঁকা হয়, বিশেষজ্ঞরা একে বলেন, জেনারেলাইজেশন।
ফলে শ্বাস নালিতে বায়ু চলাচল বাড়ে, মাংস পেশির আরাম হয়, হৃদপিণ্ড ও রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপ্ত হয়। হাসলে, হাসতে থাকা মানুষদের মস্তিষ্ক শরীরের অবসাদের হরমোন যেমন- এ্যান্ড্রোনালিন ও কটিজন তৈরি বন্ধ করে দেয়।
নিয়েমটাস বলেন, যখন কেও হাসে তখন স্যারোটিনিন নি:সরণ হয়। এটা সুখি হরমোন হিসেবে পরিচিত। তাই যত বেশি হাসা যাবে মানুষ তত বেশি সুখি বোধ করবে।
আমেরিকায় একটি গবেষণায় বলা হয়, হাসি টি-লিস্ফোরসাইটস সচল করে। যা ক্যান্সারের কোষকে আক্রমণ করে। সেই সঙ্গে গামা ইন্টারফেরোনও সক্রিয় করে। যা টিউমার তৈরি প্রতিরোধ করে।