দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মশার উপদ্রব বেড়েছে। আর মশা বাড়ার কারণে ডেঙ্গুর প্রবণতাও বাড়বে এটিই স্বাভাবিক। এই ডেঙ্গু থেকে নিস্তার পেতে কি করণীয় তার কয়েকটি টিপস্ দেওয়া হলো
ডেঙ্গু সাধারণত এডিস মশা থেকে বিস্তার লাভ করে থাকে এটি আমাদের প্রায় অনেকেরই জানা। কিন্তু এই এডিস মশা থেকে নিস্তার পাবেন কিভাবে?
আসুন সে বিষয়ে কিছু টিপস্ জেনে নেওয়া যাক।
# ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ৩টি মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।
রক্তক্ষরণ বিশেষ করে খাদ্যনালির রক্তক্ষরণ (রক্তবোমি ও কালো পায়খানা)
হেপাটিক ফেইলার এবং অনেক ক্ষেত্রে কিডনি ফেইলার ওইসব রোগির বেশি হয়। যারা নিমেসুইলাইড ড্রাইক্লোফেন, ভল্টারিণ ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করেন। দু:খজনক হলেও সত্যি আমাদের দেশে অনেক চিকিৎসকরা জ্বর কমানোর জন্য এগুলো ব্যবহার করে থাকেন। ডিহাইড্রেশনের রোগির ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার মারাত্মক পরিণতির দিকে ধাবিত করতে পারে।
# ডেঙ্গুর বিশেষ কোন চিকিৎসা নেই। তাই শক প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি দিতে হবে।
# জ্বরের জন্য উল্লেখিত ওষুধ ব্যবহার না করে প্যারাসিটামল ৬০ থেকে ৮০ মি:লি গ্রাম দেওয়া যেতে পারে।
# জ্বর স্বাভাবিক না হলেও ১০০ ডিগ্রী ফা: মধ্যে রাখতে হবে।
# অধৈর্য না হয়ে যথাযথভাবে প্যারাসিটামল ও পানি দিয়ে জ্বর কমাতে হবে।
# মোটামুটি ৩ লিটার পানি খেতে দিতে হবে।
# পানি না খেতে পারলে স্যালাইন দিতে হবে। এক্ষেত্রে নরমাল স্যালাইন সবচেয়ে ভালো।
# নিউট্রিশন ঠিক রাখার জন্য খাবার খেতে উৎসাহী করতে হবে। ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, জুস, কোক ইত্যাদি দিলে পানির সঙ্গে ক্যালোরিও নিশ্চিত হয়।
# ডেঙ্গুর শক প্রতিরোধ করতে হলে ব্লাডপ্রেসার প্রসাবের পরিমাণ ইত্যাদি মনিটর করতে হবে।
যার পেটের ব্যথা থাকছে কিন্তু বোমি কমছে না। যে উল্টা-পাল্টা বোকছে। এধরনের রোগি ডেঙ্গু শক সিনড্রম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এসব রোগির হঠাৎ করে জ্বর নেমে যায়। প্লাটিলেট খুব কমে যায়। গ্রেট-১, গ্রেট-২ শকের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু লাগার কথা নয়। গ্রেট-৩ হলে স্যালাইন দিয়ে মনিটর করতে হবে। মনে রাখতে হবে বেশি পানি দেওয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
যেহেতু ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নেই তাই মশা ও তার লার্ভা ডিমই এক্ষেত্রে আমাদের টার্গেট। এডিস মশা ডমেস্টিক গৃহপালিত। দেওয়ালের কোণে, দরজার ফাঁকে ও পর্দার ভাজে সেটে থাকে এডিস মশা। ডেঙ্গু এড়াতে হলে এডিস মশাকে প্রতিরোধ করতে হবে।
এডিস মশার ডিম পাড়া বা লার্ভা জন্মানোর জায়গা হলো জলকান্দা, ডিমের খোসা, নারকেলের খোসা, এয়ারকুলা, এসি গাড়ির পরিত্যাক্ত টায়ার, ফুলের টব ও নির্মিয়মান ইমারতের চৌবাচ্চায় জমা পানি এবং বাসার পাশে জমানো আবর্জনা বৃষ্টির দিনে যত্রতত্র জমা পানি থেকে এডিস মশার জন্ম হয়ে থাকে। তাই এগুলো থেকে সাবধান হতে হবে।