দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের দাবির ভিত্তিতে অবশেষে বিটিসিএল বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়েছে। প্রতি মেগাবিট ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম দুই হাজার টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) অবশেষে জানিয়েছে এপ্রিল মাসের শুরু থেকে প্রতি মেগাবিট ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মাসিক চার্জ চার হাজার ৮০০ টাকা থেকে কমিয়ে দুই হাজার ৮০০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিটিসিএল বিভিন্ন উচ্চ ব্যান্ডউইথের ক্ষেত্রেও ব্যাপক হারে ডিসকাউন্ট দিচ্ছে।
এদিকে এই বিষয়ে বিটিসিএলের পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ জানিয়েছেন, “দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন এবং সকল নাগরিককে ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলতে সরকার সাশ্রয়ী রেটে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দিতেই ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথের মাসিক চার্জ অর্ধেক হ্রাস করেছে। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন প্যাকেজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।”
চলুন জেনে নেয়া যাক গ্রাহক পর্যায়ে কোন পেকেজ কেমন দাম হবে। এতদিন ৩০ দিনের ২৫৬ কেবিপিএস গতির দুই জিবি ডাটা প্যাকেজের খরচ ছিল ৩০০ টাকা। এখন গ্রাহকরা এই টাকা দিয়েই ৪ জিবি ডাটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। অপর দিকে আরেকটি প্যাকেজে ৫০০ টাকা দিয়েই গ্রাহক ৫১২ কেবিপিএস স্পীডে ১০ জিবি ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন যার মেয়াদ ৩০ দিন। এছাড়া ১০০০ টাকা দিয়ে ১০২৪ কেবিপিএস গতিতে ৩০ দিন মেয়াদের ২৫ জিবি ডাটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
ব্র্যন্ডব্যান্ড সার্ভিসের ক্ষেত্রেও দাম হ্রাস করা হয়েছে, এক্ষেত্রে বিকিউব ইনফিনিটি প্যাকেজের গ্রাহককে ২৫৬ কেবিপিএস গতির ইন্টারনেটের জন্য মাসিক চার্জ দিতে হবে মাত্র ৪৫০ টাকা, ৫১২ কেবিপিএস গতির জন্য চার্জ দিতে হবে ৭৫০ টাকা, ১০২৪ কেবিপিএস গতির জন্য চার্জ দিতে হবে এক হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া নতুন আনলিমিটেড প্যাকেজ এক হাজার ৫০০ কেবিপিএস গতির ইন্টারনেটের জন্য মাসিক চার্জ দিতে হবে এক হাজার ৬০০ টাকা। তবে ব্র্যন্ডব্যান্ড সংযোগের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশান, সেটআপ, আপগ্রেডেশন ইত্যাদি চার্জ আগের মতোই থাকবে।
সকল প্রকার ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন বিটিসিএল’র ওবেব সাইট http://www.btcl.gov.bd/।