দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম আমাদের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় দৈহিক চাহিদা। মানুষ খুব কম ঘুমিয়ে কাজ যেমন করতে পারেনা তেমন সারাক্ষণ ঘুমানর ফলে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কিছু রোগের।
আপনি কি খুব বেশি সময় নিয়ে ঘুমিয়ে কাটান? অথবা আপনার ঘুম কি খুব কম হয়? যদি তাই হয়ে থাকে তবে এখনই সাবধান হয়ে যান। গবেষকরা বলছেন ঘুমের কারণে আপনার মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক অধিক ঘুমের কারণে আমাদের কি কি সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
Exploding Head Syndrome
Exploding Head Syndrome হচ্ছে এমন একটি রোগ যার ফোলে আপনি সব সময় ঘুমের মাঝে “বুম” বা বিকট শব্দ শুনতে পাবেন। জেগে উঠে দেখতে পাবেন সব স্বাভাবিক। এভাবে নিয়মিত আপনার ঘুম হারাম হয়ে যাবে। ঘুম থেকে বিকট শব্দে জেগে উঠে আপনি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বেন। এই রোগ হওয়ার কারণ হচ্ছে অত্তাধিক ঘুম। সুতরাং খুব বেশি ঘুম থেকে এখনই দূরে থাকুন।
Sleep paralysis
সাধারণত অনিয়মিত ঘুম কিংবা খুব বেশি ঘুমের কারণেই Sleep paralysis হতে পারে। Sleep paralysis হলে একজন মানুষ ঘুমের মাঝেই চোখ মুখ টেনে রেখে কিছু একটা থেকে আপ্রান বাচার চেষ্টা করতে থাকেন। এসময় ভিক্টিম কোনও মতেই নিজের হাত পা কিংবা মুখ নাড়াতে পারেন না। আমরা আমাদের দেশি ভাষায় এই রোগকে বলে থাকি বোবায় ধরা। গ্রামে অনেকেই একে জিনে ধরা বলেও মনে করেন। ঘুম বেশি বা কম হলেই এই রোগ দেখা দিতে পারে।
Bad Dream বা দুঃস্বপ্ন
একটু ঘুম কম বেশি হলেই মানুষ ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে থাকেন। ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্নকে অনেকেই বলে থাকেন সাধারণ বিষয়। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে তা বলেনা। আপনি যখনই কোনো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন কিংবা আপনার ঘুমের নিয়মের এদিক সেদিক হবে তখনি আপনি ঘুমের মাঝে উদ্ভট ভয়ংকর সব বিষয় নিয়ে সপ্ন দেখবেন। এতে করে আপনার ঘুম ভেঙে যাবে এবং আপনার মানসিক অশান্তি তৈরি হবে।
Parasomnia
মানসিক চাপ, কম ঘুম, অনিয়মিত ঘুম কিংবা অধিক ঘুম এসব কারণে অনেকের Parasomnia নামক রোগ দেখা দেয়। এই রোগ হলে মানুষ ঘুমের মাঝেই নানান কাজ করে থাকেন। এই রোগে আক্রান্ত রোগী বাস্তবিক অর্থে ঘুমে থাকেন কিন্তু তিনি আসলে ঘুমের মাঝেই হাটা, গাড়ি চালানো, দৌড়ানো, এমনকি অপরাধ মূলক কাজও করে থাকেন। সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী রয়েছেন যাদের মাঝে অনেকেই ঘুমের মাঝেই অপরাধ ঘটিয়েছেন।
সুতরাং, ঘুমের মাঝে উপরে উল্লেখ্য যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেই, তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও সমস্যাকেই হালকা করে দেখবেন না। স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। নিয়মিত পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া