দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ কৃষি প্রধানদেশ তবে আমাদের দেশে কৃষকের কৃষিকাজে নানান প্রতিবন্ধকতা পোহাতে হয়। কৃষক সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভোগে সেচকাজে। এবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানী এমন এক সাশ্রয়ী সেচ যন্ত্র আবিষ্কার করলেন যা দিয়ে মাত্র আড়াইশ টাকায় পুরো মৌসুমের সেচ খরচ কমে যাবে ৪০ শতাংশ!
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) এর গবেষক বিজ্ঞানী ফারুক বিন হোসেন ঈয়ামিন এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যা দিয়ে একজন কৃষক খুব সহজে নিজের জমির আদ্রতা মেপে নিয়ে সে অনুপাতে জমিতে সেচ দিতে পারবেন। এতে করে একজন কৃষক তার জমিতে সেচের খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারবেন।
বর্তমানেও বেশ কিছু বিদেশী কোম্পানির তৈরি জমির আদ্রতা পরিমাপক যন্ত্র বাজারে পাওয়া যায়। তবে এসব যন্ত্রের মূল্য বেশি এবং এসব যন্ত্রে আদ্রতা মাপা অনেক কঠিন যা আমাদের দেশের সহজ সরল কৃষকদের পক্ষ সম্ভব হয়না। এতে করে কৃষক আদ্রতা মাপার ঐ সব যন্ত্র ব্যবহারে অনাগ্রহী হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) এর মহাপরিচালক বলেন, “নতুন আবিষ্কৃত এই আদ্রতা মাপার যন্ত্র দিয়ে আপনি চাইলে খুব সহজেই কোন ফসলের জন্য কেমন আদ্রতা লাগবে তা নির্ণয় করতে পারবেন। এবং সে অনুপাতে জমিতে সেচ দিতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “পরিমিত পরিমানে সেচ দেয়া এবং পানির বাড়তি অপচয় রোধ একই সাথে কৃষকের খরচ কমার কারণে জাতীয় সম্পদের দারুণ সাশ্রয় হবে এই যন্ত্র দিয়ে।”
যন্ত্রের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ফারুক বিন হোসেন ঈয়ামিন বলেন, “কৃষক পর্যায়ে ফসলের প্রয়োজনীয়তা না বুঝেই মাঠে সেচ দেয়া হয়। এতে পানির অপচয় হয় বেশি। এই যন্ত্রের মাধ্যমে আর্দ্রতা পরিমাপ করে সেচসূচি প্রণয়ন করলে সেচের খরচ প্রায় ৪০ ভাগ কমানো সম্ভব।”
তিনি যন্ত্র বিষয়ে বলেন, “এটি খুবি সাশ্রয়ী, মাত্র ২ থেকে ৩ ফুট জিআই পাইপ, স্কেল, বাটখারা ও হাতে তৈরি একটি নিক্তি প্রয়োজন হবে। এসব কিনতে এবং যন্ত্রটি বানাতে মাত্র আড়াইশ টাকা ব্যয় হবে। যা দিয়ে সেচের খরচ ৪০% কমিয়ে আনতে পারবেন একজন কৃষক।”
কৃষকের জন্য প্রয়োজনীয় এই যন্ত্র এ বছরের শেষ নাগাদ বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ফারুক বিন হোসেন ঈয়ামিন। এছাড়া এই বিজ্ঞানীই গত বছর খাদ্যে ফরমালিন এর উপস্থিতি নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।