দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আই ফার্মার এবং প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে কৃষিকাজে সংযুক্ত নারীদের অর্থায়ন সহযোগিতায় যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এটি প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে আইফার্মারের নতুন এক উদ্ভাবনমূলক অংশীদারিত্ব চিহ্নিত করে যা আই ফার্মারের কৃষকদের অর্থায়ন সুবিধাগুলো সহজ করে দেবে। বিশেষ করে আই ফার্মার সরাসরি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ নিশ্চিত করবে।
আর্থিক সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি সঠিক সময় সহজভাবে চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে কৃষকদেরকে কৃষি পরামর্শ প্রদান, কৃষি উপকরণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতির নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া ও তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ক্রয় করে থাকে আই ফার্মার। বর্তমানে আই ফার্মার বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় ১ লক্ষেরও বেশি নিবন্ধিত কৃষক পরিবার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আই ফার্মারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ এবং প্রাইম ব্যাংকের উপ – ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাজিম আনোয়ার চৌধুরী সম্প্রতি একটি চুক্তির নথি বিনিময় করেছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আই ফার্মারের পক্ষ হতে ইরফান ইসলাম- ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উপদেষ্টা, ফরহাদ জুলফিকার রাফেল- ফিল্ড অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এত্তেসাম বারি রিও- স্পেশালিস্ট – ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যান্ড মোবিলাইজেশন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের এমএসএমই ব্যাংকিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন-চার্জ – মোহাম্মদ ইবনুল আলম পলাশ, এমএসএমই ব্যাংকিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ ফজলে রাব্বি ও এগ্রি সাপোর্ট বিভাগের এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান – আসাদ বিন রাশিদ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org