দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায় যেকোনো দিন হতে পারে। শুনানী শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ আপিল রায়ের জন্য এটি অপেক্ষমাণ রাখেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি গতকাল শেষ হয়। এ দিন আসামিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ জবাব দেয়। তবে গতকাল রায়ের দিন ধার্য না করে আজ দুটি আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
ইব্রাহিম কুট্টি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ-সংক্রান্ত নথি তলবের জন্য গত রোববার আবেদন করে আসামিপক্ষ। আবেদনে মামলার রেজিস্টার খাতা (জিআর) তলবের আরজি জানানো হয়। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইনে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মামলার নথি তলবের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল এ দুটি আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক দুটি আবেদন আজ খারিজ করেন আদালত। একই সঙ্গে আপিলের ওপর রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন আদালত। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ২য় কোনো মামলা আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি অপেক্ষায় রইলো।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যাকাণ্ড ও বিসাবালী হত্যাকাণ্ডের দায়ে সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৮ মার্চ সাঈদী আপিল করেন। আর দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৬ অভিযোগে সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।