দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়াবেটিস রোগিরা রাতে ভাত খান না। এর কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু গবেষকরা এবার বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাতকে “বাদ” দেওয়ার প্রয়োজন নেই! স্বভাবতই ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য এটি একটি সুখবর।
অনলাইন পত্রিকায় বলা হয়েছে, “ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অনেকেই ভাত খাওয়া কম করে দেম। এর কারণ হলো, বেশির ভাগ মানুষেরই ধারণা- ভাত খেলে অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাবেন, ভাত ওজন বাড়ায়। কিন্তু গবেষকেরা বদলে দিলেন বহু বছরের পুরনো এই ধ্যান-ধারণা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ভাত স্বাভাবিকভাবে খেয়েও সাধারণ ওজন বজায় রাখা সম্ভব হবে। গবেষকরা অবশ্য সেইসাথে পর্যাপ্ত ফল, সবজি, মাংস এবং মটরশুটিসহ পুষ্টিকর খাবারও খেতে বলেছেন।”
প্রধান গবেষক এবং বেলর কলেজ অফ মেডিসিনের থেরেসা নিকলাস ২০০৫-২০১০ পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ ও নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভের মাধ্যমে এক পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি ১৪ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কিনীদের ওপর গবেষণা চালান। যারা ভাত খেতে অভ্যস্ত এবং যারা পুষ্টিগত উপাদান খেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে চালানো হয় গবেষণা। সম্প্রতি ওই গবেষণাটি ফুড এ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্সের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।
গবেষক নিকলাস জানিয়েছেন, তাদের এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ভাত খান এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিগত গাইডলাইনও মেনে চলেন তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণ, ফোলেট এবং ফাইবার থাকে। তিনি দেখতে পেরেছেন, এইসব ব্যক্তিদের স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও চিনির পরিমাণ কম থাকে। তিনি আরও জানান, ভাত খাওয়ার সাথে সবজি, ফল, মাংস ও বিনজাতীয় খাবার খেলেও ফ্যাটের পরিমাণ শরীরে সীমিত থাকে, ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তাই গবেষকরা মনে করেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ভাতকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কোনই দরকার পড়ে না। তবে প্রয়োজনীয় খাদ্যগুলো অবশ্যই খেতে হবে। এরফলে বজায় থাকবে শরীরের ভারসাম্য এবং ওজনও বাড়বে না।
গবেষকরা বলেছেন, প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন ভাতের চাহিদা রয়েছে ভিন্ন রকম। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে দৈহিক গড়ন, লিঙ্গ এবং কাজের ধরণের ওপরে। আর তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে প্রতিদিন কি পরিমাণ ভাত খাওয়া যেতে পারে সেটা পুষ্টিবিদের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে নির্ণয় করতে হবে। তথ্যসূত্র: ডেইলী মেইল অনলাইন।