দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভারের রানা প্লাজার ভবন ধ্বসের ঘটনার পর গত বছর ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু সেসব নির্দেশনা দীর্ঘ এক বছরেও কার্যকরি হয়নি।
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ঘটনার সাতদিন পর গত বছরের ৩০ এপ্রিল কিছু নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় ভবনের মালিক সোহেল রানা ও ৫ গার্মেন্টস মালিকের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া ছিল হাইকোর্টের। ঢাকা জেলার ডিসি, এসপি, জেলা রেজিস্ট্রারকে এই আদেশ কার্যকরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
আদেশে অভিযুক্তদের সম্পদ যেন অন্য কোনো নামে হস্তান্তর হতে না পারে সেজন্যও নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দেশের সব ভূমি নিবন্ধকের (সাব রেজিস্ট্রার) প্রতি সার্কুলার জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে ভবন মালিক রানাসহ ওই ৫ জনের ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর যেন না হতে পারে সে বিষয়েও সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতি সার্কুলার জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশনায় আরও ছিল বিজিএমইএ’র তত্ত্বাবধানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের আদেশ। আদালতের সব আদেশের বিষয়ে ১ সপ্তাহের মধ্যে ১টি প্রতিবেদন দাখিল করতে আইজেআরকে নির্দেশও দেয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালিত হয়নি দীর্ঘ এক বছরেরও। এখনও অনেক শ্রমিক তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া যেভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেভাবে দেওয়া হয়নি শ্রমিকদের। এখনও অনেক শ্রমিক রয়েছে যারা পঙ্গুত্বের কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আইনের নির্দেশনা যেখানে প্রতিফলিত হয়নি সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে সেটিই দেখার বিষয়। দেখতে দেখতে এক বছর পার হলো কিন্তু রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ক্ষতিগ্রস্থরা এখনও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেনে সে সব পরিবার আজও কোন ক্ষতিপূরণ পাননি।