দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তারানকোর সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে বৈঠক হয়েছিল সেটি সকলের মনে আছে। কিন্তু সেই বৈঠকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছাড়া কেও কিছুই বলেননি। কিন্তু হঠাৎ গতকাল মীর্জা ফখরুল ইসলাম আমলগীর মুখ খুললেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামীলীগ তারানকোর উপস্থিতিতে দ্রুত আবার নির্বাচনের যে কথা দিয়েছিল তা রাখেনি।
জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতৃবন্দ এতে অংশ নেন। তখন সেই বৈঠক ছিল দেশবাসীর কাছে এক আশার আলো। কিন্তু সেই আলোয় নিভে যায়। কিন্তু সেদিন কি কি আলোচনা হয়েছে তা কেনো পক্ষই খোলাসা করে বলেননি। হঠাৎ গতকাল মীর্জা ফখরুল ইসলাম মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, দ্রুত আবার নির্বাচনের কথা হয়েছিল।
আসলে সেদিনের বৈঠকগুলো হয়েছিল রুদ্ধদার। সাংবাদিকদের ভিড়তে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে বৈঠক হচ্ছে এক নেতার বাড়িতে কিন্তু বাস্তবে হয়েছে গুলশানে জাতিসংঘের একটি প্রকল্প কার্যালয়ে। সাংবাদিকদের থেকে গোপন করতে এমনটি করা হয়েছে। বৈঠকের আলোচ্যসুচি কেবলমাত্র প্রেস ব্রিফিং করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। কেও আলাদাভাবে সাংবাদিকদের কিছুই বলেননি। আলোচনার শর্ত হিসেবেই হয়তো এমনটি করা হয়েছে। ওই আলোচনা অবশ্য ব্যর্থ হয়।
কিন্তু হঠাৎ করেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গতকাল একটি টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই আলোচনার উদ্বৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘সে সময় তারানকোর উপস্থিতিতে আওয়ামীলীগ কথা দিয়েছিল যত্র দ্রুত সম্ভব আবার নির্বাচন দিবেন।’
মীর্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) ঠাট্টা করে সেদিন বলেছিল, একতরফা নির্বাচন এরশাদ একটা করেছে, আপনারা একটা করেছেন, এবার আমরাও একটা করবো। পরবর্তীতে দ্রুত একটা নির্বাচন দেওয়া হবে।’