দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উপ মহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পাবনাস্থ পৈতৃক বাড়ি সংরক্ষণ এবং সেখানে স্মৃতি সংগ্রহশালা নির্মাণে আর কোন আইনগত বাধা রইলো না।
বাড়িটির বর্তমান দখলদার ইমাম গাজ্জালি ট্রাস্টের ‘লিভ টু আপিল’ এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করার অনুমতি যে অনুমতি চেয়েছিল গতকাল রবিবার সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ ওই আবেদনটি খারিজ করে দেয়। যে কারণে সুচিত্রা সেনের পাবনাস্থ পৈতৃক বাড়িটি সংরক্ষণ এবং সেখানে স্মৃতি সংগ্রহশালা নির্মাণে আইনগত কোনো বাধা আর রইলো না।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাড়িটি দখলে নেয়ার জন্য পাবনার জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল বিভাগের এই রায়ের নির্দেশনা গতকালই ফ্যাক্সযোগে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ইমাম গাজ্জালি ইনস্টিটিউটের লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাড়িটি খালি করার জন্য ২০০৯ সালে নোটিস দেয়া হয়। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান বাড়ি খালি না করে ওই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয় এবং সেইসঙ্গে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি দখলমুক্ত করে ওই বাড়িতে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে সরকারকে নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, উপ মহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্ম নেন তাঁর এই পৈত্রিক ভিটায়। পাবনার এই বাড়িতেই তাঁর শৈশব-কৈশোর কাটে। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে অবস্থিত সুচিত্রা পরিবারসহ ১৯৫১ সালে ভারতে চলে যান। দেশ স্বাধীনের পর বাড়িটি অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। ১৯৮৭ সালে জেলা প্রশাসক এই বাড়িটি বাৎসরিক চুক্তির ভিত্তিতে ‘ইমাম গাজ্জালি ট্রাস্ট’কে ইজারা দেন। এরপর সেখানে ট্রাস্টের নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু পাবনার সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ দীর্ঘদিন যাবত খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের এই বাড়িটি স্মৃতি সংগ্রহশালা নির্মাণের দাবি করে আসছিলেন। মহা নায়িকা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর এর এই দাবি আরও জোরালো হয়।